বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় দৈনিক তাপমাত্রা চলতি মার্চ মাসে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (৭০ দশমিক ১৬ ফারেনহাইট) পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট রিঅ্যানালাইজার এবং ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) তথ্য অনুসারে, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা। খবর আনাদোলু এজেন্সি
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্টে সমুদ্রের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এই বছরের মার্চ মাসে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এনওএএ-এর সমুদ্রবিষয়ক বিজ্ঞানী গ্রেগরি সি. জনসন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে মহাসাগরের পরিমাপ করা গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২২ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে, যা এক বছরে দুই দশকের উষ্ণায়নের সমান।
জনসন বলেন, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে এই রেকর্ড তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির সময় দীর্ঘ লকডাউন বিশ্ব প্রকৃতিতে ইতিবাচক বদল আনতে শুরু করেছিল। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নেপথ্যে অন্যতম ‘খলনায়ক’ গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন অনেকটাই কমেছিল তখন। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর পরিস্থিতি ফের খারাপের দিকে যেতে থাকে। ফের পৃথিবী ক্রমাগত উত্তপ্ত হতে থাকে। সারা বিশ্বে পানির তাপমাত্রায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে মহাসাগরে যে পরিমাণ উত্তাপ সঞ্চিত আছে তা ১৯৫৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। গত ১৩ জানুয়ারি এই বিষয়ে অনলাইনে ‘অ্যাডভান্স ইন অ্যাটমোসফেরিক সায়েন্স’ নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
তাপমাত্রা বাড়ার ফলে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্টিকায় বরফ গলতে শুরু করে। সেইসঙ্গে এই উষ্ণতা গ্রীষ্মকালীন ক্রান্তীয় ঝড়কেও গতি দিচ্ছে। গবেষকরা মুর সেন্সর, আর্গো ফ্লোটস, আন্ডার ওয়াটার রোবট এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাপমাত্রা ডাটার মাধ্যমে সমুদ্রের উপরের দুই হাজার মিটারের উপরে কতটা তাপশক্তি সংগ্রহ রয়েছে তা অনুমান করেছেন। ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের গড়ের নিরিখে ২০২০ সালে মহাসাগরের উপরিভাগের পানিতে ২৩৪ সেক্সটিলিয়ন তাপশক্তি রেকর্ড করা হয়।
বিপি/টিআই