বাংলাপ্রেস ডেস্ক: নিউ ইয়র্ক জালিয়াতি মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে বন্ড হিসেবে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে কোনও প্রাইভেট কোম্পানি খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। সোমবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, এই আকারের একটি বন্ড নিশ্চিত করা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই তার আপিল প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য নগদে সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করতে হবে অথবা নিরাপত্তা হিসেবে তাকে একটি বন্ড নিশ্চিত করতে হবে।
এই অর্থ পরিশোধ না করলে কিছু রিয়েল এস্টেট সম্পদ হারাতে পারেন ট্রাম্প। ফি হিসেবে অন্তত একটি বন্ডিং কোম্পানিকে নিউইয়র্কের আদালতে সম্পূর্ণ অর্থের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ট্রাম্প যদি আপিলে হেরে যান এবং নিজে যদি ওই অর্থ পরিশোধ করতে না পারেন,তাহলে বন্ডদাতা কোম্পানিকে তা শোধ করতে হবে।
বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে যে বন্ড দিতে বলা হয়েছে, তা যে কোনও কোম্পানি বা তার প্রতিষ্ঠানের মতো সফল কোনও কোম্পানির পক্ষেও দেয়া সম্ভব না। তিনি আরও বলেন, বন্ডিং কোম্পানিগুলি আগে কখনও এই আকারের বন্ডের কথা শুনেনি।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতে পেশ করা এক আবেদনে জানান,তার একটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বৃহৎ বিমা কোম্পানির সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দর-কষাকষি করেছেন। কিন্তু এই পরিমাণ বন্ড দিতে খুব কম কোম্পানিই বিবেচনা করবে।
আইনজীবীরা আরও বলেন তারা আরও ৩০টি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন,কিন্তু সফল হননি। এই মামলায় ট্রাম্পের বড় দুই ছেলেকেও কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হবে।
জালিয়াতির এই মামলায় ট্রাম্পকে জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তিন বছরের জন্য নিউইয়র্কে ব্যবসা পরিচালনা করতেও নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারক আর্থার এনগোরন। তুলনামূলক বেশি ঋণ সুবিধা পেতে সাবেক প্রেসিডেন্ট কারসাজি করে সম্পদ বাড়িয়ে দেখিয়েছেন, এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর এ আদেশ দেন বিচারক।
জরিমানার এই অর্থ পরিশোধ না করলে ট্রাম্পের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অঙ্গীকার করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল। অর্থ প্রদান না করা পর্যন্ত জরিমানার সুদ প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ ১২ হাজার ডলার করে যোগ হচ্ছে।
ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। গত বছর তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৪০০ মিলিয়ন ডলারের তরল সম্পদ রয়েছে তার।
বিপি।এসএম