বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মিয়ানমারের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি অঞ্চল। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। খবর ভলকানো ডিসকভারি, ইউএসজিএস।
মিয়ানমারের স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৮।
ভলকানো ডিসকভারি বলেছে, মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মাওলাইক শহর থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা কেঁপে উঠেছে। এর আগে, গত ২৯ মে মিয়ানমারের একই শহরে আঘাত হানা ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ ও ভারত।
ভারতের জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (এনসিএস) বলেছে, রোববার মিয়ানমারের মাওলাইকের কাছে সাড়ে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মিয়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটে স্যাগাইং প্রদেশের মাওলাইক জেলায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১০ কিলোমিটার গভীরে হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিএস।
মিয়ানমারে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যও কেঁপে উঠেছে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মেঘালয় রাজ্যের জোওয়াই এলাকার কাছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত কিংবা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে মাঝারি মাত্রার জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির ইরাবতি ও রাখাইন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ওই ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
বিপি/কেজে