বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মবিরতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবিনামা অচিরেই সমাধান হবে। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষকদের দাবি জানানো, ২০২৪-২৫ এর যে পার্থক্য ছিল সেখানে ভুল বোঝাবুঝির একটি কারণ ছিল। সেটি আসলে ২০২৫ সালের ১ জুলাই হবে। এটি তাদের নিশ্চিত করতে হয়েছে। আর বাকি যে দাবিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হুট করে তো সিদ্ধান্ত আসে না, সরকারেরও যুক্তি আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলোর সমাধান হবে।
কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় কোটার প্রয়োজন আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্য বাংলাদেশে কোটায় নিয়োগ সবচেয়ে কম। ভারতে ৬০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৯২ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালে ৪৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৫০ শতাংশ চাকরিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ৬০ শতাংশ কোটা চালু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আকতারুল ইসলাম ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল ওই বৈঠকে অংশ নেন।
বিপি/টিআই