নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থিতা থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর নতুন প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম সামনে এসেছে।
আগামী ১৯ আগস্ট ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে নতুন প্রার্থী কে হচ্ছেন তা জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিস মনোনয়ন পেতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা থেকে বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলা হ্যারিসকে জোড়ালোভাবে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ডেমোক্রেটিক দলের অনেক সিনিয়র নেতারা। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কমলা হ্যারিসকে সরাসরি সমর্থন না দিলেও তাকে মৌনভাবে সমর্থন দিয়েছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে থাকা কমলা হ্যারিস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থন তিনিই পাবেন।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে বাইডেন বলেছেন, দেশের স্বার্থে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স পোস্টে বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাকী মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন এবং কীভাবে সুন্দরভাবে দায়িত্ব সমাপ্ত করা যায় সেদিকেই তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত জুনে রিপাবলিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ধরাশায়ী হন বাইডেন। এরপর থেকেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আগামী মার্কিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বাইডেন। নতুন করে তিনি করোনায় আক্রান্তের পর তা আরও জোড়ালো হয়।
২৪ ঘণ্টায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চাঁদা আদায়
৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস নির্বাচনী লড়াইয়ে উতরে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। তাঁকে নিয়ে বড় আশা দেখছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। যেমন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘অত্যন্ত গর্ব ও সীমাহীন আশা নিয়ে’ তিনি কমলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। বাইডেনও প্রশংসা করে তাঁকে ‘সেরা’ বলেছেন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির চাঁদাদাতারাও যে কমলাকে নিয়ে আশাবাদী, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে নির্বাচনী প্রচার তহবিলে তাঁদের দেওয়া অর্থের পরিমাণ থেকে। বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলার প্রচারশিবিরের জন্য ২৪ ঘণ্টায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দিয়েছেন তাঁরা। ডেমোক্র্যাট শিবির বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এর আগে কখনো এক দিনে এত অর্থ সংগৃহীত হয়নি। আর এই অর্থদাতাদের মধ্যে ৮ লাখ ৮৮ হাজার জন তৃণমূলের নেতা–কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ৬০ শতাংশই ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অর্থ দিয়েছেন।
বিপি।এসএম