নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় এবং এ বিষয়ে তাদের কোনও ধারণা নেই। বুধবার (৩১ জুলাই) সিঙ্গাপুরে চ্যানেল নিউজ এশিয়ার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলতে পারছি না এই হত্যাকাণ্ডের প্রভাব কী হবে। তবে আমি বলতে পারি, গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনের গুরুত্ব অপরিহার্য এবং সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্লিঙ্কেনের দফতর থেকে একটি অনুলিখনে তার এই মন্তব্য প্রকাশ ধরা হয়েছে।
হানিয়েহ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যখন তাকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাকে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে হামাসকে ধ্বংসের অঙ্গীকার করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি। ব্লিঙ্কেনের মতে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি এবং গাজায় আটকে পড়া শিশুদের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তি।
হানিয়েহ হামাসের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডের পর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র সংঘাত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেও গাজায় যুদ্ধবিরতি গুরুত্বপূর্ণ। হানিয়েহ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে হামাস।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হয় দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের আক্রমণের পর। ওই হামলায় ১২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে আটক করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এরপর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা অঞ্চলে ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, নিহতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি যোদ্ধা ছিল। তবে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, অধিকাংশ নিহত নারী ও শিশু।
বিপি।এসএম