বাংলাপ্রেস ডেস্ক: শরতের মধ্যভাগে এসে বৃষ্টিতে ভিজছে গোটা দেশ। মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বায়ু। পুরো বাংলাদেশ সজল সঘন মেঘের চাদরে ঢাকা। নিম্নচাপ অঞ্চলের প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে সারাদেশে।
আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েক দিনের টানা ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি শনিবার অব্দি চলতে পারে। এর মধ্যে কিছু কিছু অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণেরও সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে চার সমুদ্রবন্দর এলাকায় দেখাতে বলা হয়েছে তিন নম্বর সংকেত। সেই সঙ্গে সাগরের মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
এর মধ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
বৃষ্টিপাতের মধ্যে দেশের নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদর রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (>৮৯ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। তবে পরবর্তী ২ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এর প্রেক্ষিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পরবর্তী একদিন পর্যন্ত তা স্থিতিশীল এবং এর পরদিন থেকে তা হ্রাস পেতে পারে।
এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাগুলো সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বিপি/কেজে