নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ৪৩টি দেশের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা বিবেচনা করছে। এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চেয়ে ব্যাপক হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা খসড়া তালিকাটি পর্যালোচনা করছেন। এ ছাড়া একটি ‘কমলা’ তালিকাও আছে। এই তালিকায় থাকা ১০টি দেশের নাগরিকদের আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দেশগুলোর ধনী ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করতে পারলেও অভিবাসী বা পর্যটন ভিসায় আসা ব্যক্তিরা পারবেন না। এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান ও তুর্কমিনিস্তান।
এদিকে, এসব দেশের যেসব নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছেন কিন্তু এখনো দেশটিতে যাননি, তাঁদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। একইভাবে, প্রশাসন বর্তমান গ্রিন কার্ডধারীদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখবে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
প্রস্তাবিত লাল ও কমলা তালিকার মধ্যে কিছু দেশ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছিল, তবে অনেক দেশ নতুন। কিন্তু অন্য কয়েকটি দেশের অন্তর্ভুক্তির কারণ স্পষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুটানকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব একটি ভিন্ন বিষয় সৃষ্টি করে।
প্রস্তাবে একটি খসড়া ‘হলুদ’ তালিকাও অন্তর্ভুক্ত আছে, যেখানে ২২টি দেশকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যগত ঘাটতি দূর করার জন্য বলা হয়েছে। যদি তারা তা না করতে পারে, তবে তারা অন্য কোনো তালিকায় স্থানান্তরিত হতে পারে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডোমিনিকা, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, ভানুয়াতু ও জিম্বাবুয়ে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি।এসএম