বাংলাপ্রেস ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল সংগঠনের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র পেয়েছেন বলে জানান।
আহসান হাবিব বলেন, ‘‘গত পরশুদিন (মঙ্গলবার) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি পদত্যাগপত্র পড়ে দেখিনি। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেছি।’’
ব্যক্তিগত কারণে চঞ্চল পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠার পর গত আগস্ট থেকে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন চঞ্চল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি জানি না। কেন্দ্র থেকে আমাকে অবগত করা হয়নি।’’
২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর জুয়েল রানাকে সভাপতি ও এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হলেও এখনো নতুন কমিটি হয়নি। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে জাবি ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, চঞ্চল আগস্টের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজ জেলা দিনাজপুর চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ রাখেননি। চঞ্চলের বিরোধীপক্ষের নেতা-কর্মীরা বলেন, অনুসারীদের টাকার ভাগ না দিতেই তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ। অভিযোগ আছে, এই দুর্নীতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত।
আরো পড়ুন : জাতীয় পার্টি এখন সার্কাসের দলে পরিণত হয়েছে: বিদিশা
মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানাসহ চার শিক্ষক পদত্যাগ করেন। আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তারা শিক্ষক সমিতি থেকে পদত্যাগ করেন বলে জানান। পদত্যাগ করা অন্য শিক্ষকরা হলেন- সমিতির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও সদস্য অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।
এর আগে গত সোমবার রাত থেকে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। পরে সেখানে পাল্টা অবস্থান নেন উপাচার্যের পক্ষের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
বিপি/আর এল