বাংলাপ্রেস অনলাইন: কাজাখস্তানের বন্দরনগরী আকতাউয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তার রুশ সমকক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। কাস্পিয়ান সাগরের সম্পদ বন্টনের বিষয়ে এ সাগর তীরবর্তী পাঁচ দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের অবকাশে দ্বিপক্ষীয় এ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি রাশিয়ার সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সিরিয়ায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ বিরোধী যুদ্ধে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং দায়েশ সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখা উচিত।
সাক্ষাতে ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের সঙ্গে ইরানের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে রাশিয়ারও আগ্রহ রয়েছে। তিনি পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে একটি আন্তর্জাতিক ও গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকা এ সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এখন বাকি দেশগুলোর উচিত কঠিনভাবে এটি বাস্তবায়নে নেমে পড়া। কাজাখস্তানের বন্দরনগরী আকতাউয়ে গতকাল (রোববার) রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাদের উপস্থিতিতে দুই দশকের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর কাস্পিয়ান সাগরের সম্পদ বণ্টন নিয়ে কনভেনশন সই হয়। কনভেনশনে সই করা দেশগুলো হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী দেশ এবং কাস্পিয়ান সাগরের সম্পদের মালিক তারাই।
কনভনেশনে ২৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ হচ্ছে এই সাগরে বাইরের কোনো দেশের সামরিক উপস্থিতি থাকতে পারবে না। এছাড়া, এ সাগর দিয়ে বাইরে কোনো দেশ কোনো সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারবে না। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর কেউ তাদের নিজেদের কোনো সামরিক ঘাঁটি বাইরের কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না।
বাংলাপ্রেস/আর এল