বাংলাপ্রেস ডেস্ক: শিশু শিল্পী দীঘির কথা মনে আছে। মাঝে কয়েক বার শাকিবের নায়িকা হওয়া নিয়ে গুজব ছড়িয়ে ছিল। তবে এবার আর গুজব নয় সত্যি সত্যি রুপালি পর্দার নায়িকা হতে চলছেন সেই দীঘি।
একটি মোবাইল অপারেটরের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে সাড়া ফেলেছিল শিশুশিল্পী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এর পরই ডাক পায় চলচ্চিত্রে। কাজী হায়াত পরিচালিত কাবুলিওয়ালা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে দিঘী। তারপরে আরও দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে সে।
‘চাচ্চু’, ‘দাদী মা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’সহ একের পর এক হিট ছবি উপহার দিতে শুরু করে সে। একটা সময় তাকে ঘিরেই তৈরি হতো চলচ্চিত্রের গল্প। মাঝখানে অনেক দিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিল দীঘি। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে। যদিও সেই সময়টা তাকে ঘিরে সংবাদমাধ্যম, এমনকি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরাও ছিল সরব। বারবার শোনা গেছে, শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে ফিরছেন দীঘি। এমনও শোনা গেছে, শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন তিনি। যদিও পরে খবরগুলো গুঞ্জন হিসেবেই রয়ে গেছে।
অনেক পরিচালক-প্রযোজক দীঘিকে কাস্টিং করতে চেয়েও পারেননি। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে শাপলা মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সেলিম খান দীঘিকে দুটি ছবিতে নায়িকা চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ নামের একটি ছবির শুটিংও শুরু হয়েছে। আরেকটির নাম ‘ধামাকা’। দুটি ছবিতেই দীঘির নায়ক শান্ত খান।
এই বিষয়ে দীঘি বলেন, “প্রথম থেকেই আমি কোন ছবি করব আর কোনটা করব না তার সিদ্ধান্ত নিতেন মা। মা বেঁচে নেই। এখন আমার সব সিদ্ধান্ত নেন বাবা। শাপলা মিডিয়া এই সময়ে সবচেয়ে বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সেলিম আংকেলও আমাকে মেয়ের মতো স্নেহ করেন। বাবা ভেবে দেখেছেন এই ছবিতে কাজ করলে আমার জন্য ভালো হবে। আমিও বাবার কথায় রাজি হয়েছি।”
বিপি/আর এল