চট্টগ্রাম থেকে সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের আসন্ন রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে এগিয়ে আছেন রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান প্যানেল মেয়র-২, সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন পারভেজ।
ইতোমধ্যে তিনি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্বাচনী এলাকায় ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা করে যাচ্ছেন। ছুঁটে বেড়াচ্ছেন পৌরসভার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি সাধারণ ভোটারদের আস্থা অর্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন সময় হামলা-মামলার স্বীকার হন জমির উদ্দিন পারভেজ। একেবারে তৃণমূল পর্যায় হতে উঠে আসা পারভেজ দলের দুঃসময়ে রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাউজান উপজেলা আওয়ামী পরিবারে অবদান রেখেছিলেন।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে বারবার নির্যাতিত হওয়া এই সাবেক ছাত্রনেতা সন্ত্রাসীদের হাতে দুইবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে অনেক বাধাবিপত্তি পাড়ি দিয়ে আসা পারভেজ বর্তমানে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর কার্যনির্বাহী সদস্য, রাউজান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ এর দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বৃক্ষরোপন ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পরপর ৩ বার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন। রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক ও মানবিক কর্মকান্ডে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন জমির উদ্দিন পারভেজ।
বিশেষ করে করোনা মহামারীতে অসংখ্য মানুষকে ত্রাণ বিতরণ, মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফন, আইসোলেশন সেন্টার, রমজান মাসে চিকিৎসকদের জন্য সেহেরীর খাবার সরবরাহ কার্যক্রমে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।
রাউজান পৌরসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকান্ডে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। রাউজানের বর্তমান এমপির নির্দেশে মানুষের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আগামী দিনে রাউজান পৌরসভার নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দল থেকে “নৌকা” প্রতীকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমি পৌরবাসীর জন্য নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে সেবা করে যাবো। রাউজান পৌরসভাকে একটি পরিচ্ছন্ন, মডেল ও আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করবো।’
বিপি/আর এল