বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরীর গাবতলী, শ্যামলী, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাস কাউন্টার থেকে আগামী ২৬ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে কোথাও তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সোহাগ পরিবহণের মালিক মারুফ তালুকদার সোহেল বলেন, আমরা আজ থেকে বাসের অগ্রিম টিকেট দেয়া শুরু করেছি। তবে এটা আনুষ্ঠানিক কোনও দিন তারিখ নয়। মালিকরা যে যার মতো করে তাদের কাউন্টারে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করছেন। তবে আমরা সাধারণত অগ্রিম টিকেট বিক্রির জন্য শুক্রবার শনিবারসহ ছুটির দিন বেছে নিয়ে থাকি যাতে মানুষের অন্যান্য কাজের ব্যাঘাত না ঘটে।
তিনি বলেন, এ বছর টিকেট বিক্রির পরিমাণ খুবই হতাশাজনক। আমার কাউন্টারের ম্যানেজাররা জানিয়েছেন, যা বিক্রি হচ্ছে তা বলার মতো না। টিকেট বিক্রি খুবই কম হচ্ছে। মানুষ কেন মুভমেন্টর করছে না, তা বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবছর ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় শেষদিকে রাজধানী ছাড়বেন অধিকাংশ মানুষ। সেক্ষেত্রে ৩০ এপ্রিল ও ১ মের টিকেটের বেশি চাহিদা থাকবে। তাছাড়াও অনলাইনে ৩০ শতাংশ টিকেট কেনার সুযোগ থাকায় সেদিকেও ঝুঁকছেন অনেকে।
আর পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা কেউ কেউ বলছেন, এত আগে অগ্রিম টিকেট বিক্রিটাও ‘লোক দেখানো’। ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আবুল কালাম বলেন, মহাখালী থেকে আমরা আগামী ২৩ রমজান থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করব। এখন যারা বলছেন, অগ্রিম টিকেট দিচ্ছে এটা আসলে লোক দেখানো।
এর আগে, শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশের বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, আমরা ১৫ এপ্রিল থেকে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করবো। বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টারে ও অনলাইনের মাধ্যমে আগাম টিকেট কেনা যাবে। বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেয়া হবে। ভাড়ার চাটের বাইরে বাড়তি ভাড়া নেয়া যাবে না। ১৫ এপ্রিল দেয়া হবে ২৬ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট।
তিনি বলেন, এবার রাস্তার কন্ডিশন যেহেতু খুব একটা ভালো না, ফলে আমাদের নিয়মিত যেসব গাড়ি আছে সেই গাড়িগুলোই চলবে। যাতে শিডিউল বিপর্যয় না হয়। কিছু গাড়ি আমাদের রিজার্ভ থাকবে প্রয়োজন হলে সেগুলো চালানো হবে।
এদিকে, সকালে শ্যামলী-কল্যাণপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি কাউন্টার ফাঁকা। কোথাও যাত্রীদের ভিড় নেই। কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন যাত্রীদের ভিড় না থাকার কারণে টিকেট বিক্রি হচ্ছে না।
রাজশাহী গ্রামীণ গ্রামীণ পরিবহণের ম্যানেজার আশরাফ উদ্দিন বলেন, স্বাভাবিক দিনের মতোই টিকেট বিক্রি হচ্ছে। মানুষের উপস্থিতি নেই। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঈদে মানুষ বাড়ি যাবে না। তবে কাল থেকে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে। স্টেশন কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি হবে টিকেট। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৩ মে ঈদের সম্ভাব্য দিন ধার্য করে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। ২৭ এপ্রিলের জন্য ২৩ তারিখ এবং ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল ও ১ মে’র জন্য যথাক্রমে ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল টিকেট বিক্রি করা হবে।
বিপি/কেজে