মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:“উপকারের কোন বাড়ি ধরে আন তাকে থাপ্পড় মারী” এমননি এক উদার যুবতী উপকার করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ভূক্তভোগী যুবতীর নাম গুলশান খাতুন (১৯), সে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধিন বায়া তোকিপুর গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন আদিলের মেয়ে। তার স্বামীর নাম তোফায়েল আহম্মেদ আকাশ।
ভূক্তভোগী যুবতী গুলশান খাতুন জানায়, কানিজ ফাতেমা রোজা আমার খুব ভালো বান্ধবী ছিলো। সেই সূত্রে তার মা ফাহমিদা আফরিন মৌ (৩৫), ও তার পিতা নূরে ইসলাম মিলনকে আমি আমার মা-বাবার চোখে দেখতাম। তাদের পরিবারের সাথে আমার যাতায়াত ছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় (১১জানুয়ারী ২০২২) তারিখে ২২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রতারণা মামলায় ঘোড়ামারা ভাড়া বাড়ি থেকে মিলনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় র্যাব-৫, এর সদস্যরা।
এরপর গত (১৮ জানুয়ারী ২০২২) তারিখে আমার বান্ধবীর মা আমাকে বলে মা তোমার আংকেলকে জামিন করতে হবে তুমি ৫০ হাজার টাকা ধার দাও। তোমার আংকেলকে জামিনে বের হলে তোমার টাকা পরিশোধ করবো। তার কথায় সরল বিশ্বাসে আমার মায়ের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সুদে রেখে ২০ হাজার টাকা নিয়ে মোট ৫০ হাজার টাকা বান্ধবীর মা মৌকে দেই।
মিলন আংকেল জামিনে মুক্তি পেয়েছে গত ৮মাস আগে। কিন্তু আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেনা উল্টা তারা স্বামী স্ত্রী আমাকে হুমকি দিচ্ছে। বলছে টাকা চাইলে মারধর করা সহ ফেসবুকে তোর নাচের ভিডিও ভাইরাল করবো। এদিকে ২০ হাজার টাকার সুদ বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে। সবমিলে আমি তাদের প্রতারণা ও অব্যাহত হুমকিতে অসহায় হয়ে পড়েছি।
গুলশান আরও বলেন, রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আরএমপি পুলিশ কমিশনার মহাদয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। র্যাব-৫, এ গিয়েছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন কর্মকর্তা আমার বক্তব্য শুনেছেন। চমৎকার পরামর্শও দিয়েছেন। আমার টাকা উদ্ধার হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।এদিকে মিলনের সহযোগী মারুফ নামের এক ব্যক্তি আমার ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও ভাইরাল করা সহ নানা ধরনের হুমকি ও গালি দিচ্ছে বলেও জানান এই যুবতী।
বিপি/কেজে