বাংলাপ্রেস, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সোমবার ২৪ অক্টোবর সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া চার শতাধিক পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহিম বলেন, রবিবার দেখা মিলেনি সূর্যের। বইছে ঝড়ো বাতাস। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। এজন্য কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উত্তাল জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। যেসব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান ছিলেন তাঁদের সকলকে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বীপের তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা আছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের শংকা থাকায় সেন্টমার্টিেন পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের বুকিং মানি ফেরত দেওয়ার জন্য হোটেল ও জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিপি>আর এল