১৫ অক্টোবর ২০২৫

৭ মাসেই ৭ লাখ টাকার সেতুর ধস!

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
৭ মাসেই ৭ লাখ টাকার সেতুর ধস!

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম থেকে: ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু সাত মাস না যেতেই ভেঙে পড়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের নদী বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের চার মাথা এলাকার একটি খালের ওপর এলজিএসপির বরাদ্দের সাত লাখ টাকা দিয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২৫ ফুট লম্বা ও আট ফুট প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। জুলাই মাসে সেতুটি ভেঙে যায়।

সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে নদী বিচ্ছিন্ন এলাকার সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অসুস্থ ব্যক্তিদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত দু’টি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে সেতুটি ব্যবহার করেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে মনগড়া নকশায় সেতু নির্মাণ করায় সাত মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে সেতুর ওপর প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছে। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারি ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান ও সুফিয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা কাগজ-কলমেই প্রকল্প সভাপতি-সেক্রেটারি। ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউছুব জানান, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও মনগড়া নকশার অভিযোগ সঠিক নয়।

যে খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেটি বেশ বড়। এলজিএসপির সীমিত বরাদ্দ দিয়ে ওই খালের ওপর বড় আকারের সেতু নির্মাণ করা সম্ভব ছিল না। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে খালের উভয় পাশে মাটি ভরাট করে আয়তন কমিয়ে এনে সেতু নির্মাণ করা হয়। বন্যায় সেতুর উভয় পাশের ভরাটকৃত মাটি ধুয়ে যাওয়ার কারণে সেতুর উইং ওয়াল ধসে পড়ে। দ্রুত সেতুটি মেরামত করে যাতায়াতের সমস্যা সমাধান করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, অবকাঠামোগত দুর্বলতা অথবা বন্যার কারণে সেতুটির এই অবস্থা হয়ে থাকতে পারে।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন