১৪ অক্টোবর ২০২৫

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টুইটার ফলোয়ারদের ব্লক করছেন ট্রাম্প

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টুইটার ফলোয়ারদের ব্লক করছেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টুইটার ফলোয়ারদের ব্লক করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৩ মে দেওয়া রায়ে আদালতের রায়ে বলা হয় ট্রাম্প তার টুইটারে কাউকে ব্লক করতে পারবেন না।আদালতের এমন রায়ের পরও তিনি লোকজনকে ব্লক করতে শুরু করেছেন। ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট তার ব্যক্তিগত নয়, তা একজন প্রেসিডেন্টের। ফলে সেখানে নাগরিকদের ব্লক করার ফলে ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়। বিচারক নাওমি রিস বুচওয়াল্ড বলেন, নিজের জন্য হতাশাজনক মন্তব্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু কোনওভাবেই টুইটার ব্যবহারবারীদের ব্লক করা যাবে না। কেননা কোনও সরকারি কর্মকর্তাই আইনের ঊর্ধ্বে নন। অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যও এটি প্রযোজ্য। ওই রায়ের পর ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বেশকিছু লোকজনকে আনব্লক করেন ট্রাম্প। গত ১০ আগস্ট বিচার বিভাগে ট্রাম্পের টুইটারে এখনও পর্যন্ত ব্লকলিস্টে থাকা ৪১ জনের একটি তালিকা পাঠায় কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির দ্য নাইট ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট ইন্সটিটিউট। এর আগে বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়া সাতজনকে আনব্লক করেন ট্রাম্প। কিন্তু এরপরও ব্লকলিস্টে থাকা ৪১ জনের বিষয়টি সামনে আসে। এদের মধ্যে ট্রাম্পের সমালোচক একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাও রয়েছেন। এই ৪১ জনের মধ্যে অন্তত ২০ জন টুইটারে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ট্রাম্প তাদের আনব্লক করেছেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোজি ও ডোনেল নামের একজন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি এখনও ব্লকড অবস্থায় রয়েছেন। উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই টুইটারে সক্রিয়। এ প্ল্যাটফর্মে মাঝেমধ্যেই তিনি ভিন্নমত, সংবাদমাধ্যমসহ নানা বিষয়ে নেতিবাচক পোস্ট দিয়ে থাকেন; যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। ফলে বেশ কয়েকজন সমালোচককে ব্লক করে দেন ট্রাম্প। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে ব্লকলিস্টের একিট উল্লেখযোগ্য অংশকে এরইমধ্যে আনব্লক করেছেন তিনি।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন