১৩ অক্টোবর ২০২৫

আগামী নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৬ এএম
আগামী নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি

 

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করাকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমার বয়স ৭৩ বছর। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। আমার জীবনে এটা শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। শেষ সুযোগ দেশের জন্য কিছু করার। একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই আমার লক্ষ্য।

তিনি বলেন, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে একটা বিশেষ ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এটা ইসির একার পক্ষে সম্ভব না। 


নাসির উদ্দীন বলেন, জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় ইসি। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।
 
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অংশীজনদের পরামর্শ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় ইসি আজ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং নারী নেত্রীদের সাথে সংলাপে বসছে।
 
সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে সংলাপে অংশ নেওয়াকে স্বাগত জানিয়ে সিইসি বলেন, ১৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন ১১ জন সাবেক কর্মকর্তা। উপস্থিতি কম হলেও ‘কোয়ালিটি পার্টিসিপেন্ট’ থেকে ভোটের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা সাজাতে চান।
 
তিনি বলেন, ইসিতে ইলেকশনকে ম্যানিপুলেট করার জন্য কোথায় কোথায় হাত দেওয়া দরকার, আমাদের যাতে এ জিনিস না ঘটতে পারে সে পরামর্শ দেবেন।


এ সময় অ্যাবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলেও জানান নাসির উদ্দীন।

এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করে ইসি। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৬ অক্টোবর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক সংলাপ করেছে ইসি। দুই ধাপে এই সংলাপ হয়।

 

বিপি/কেজে

 

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন