১৩ অক্টোবর ২০২৫

আনোয়ারায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু, ছেলে-স্বামী পলাতক

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
আনোয়ারায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু, ছেলে-স্বামী পলাতক

চট্টগ্রাম থেকে সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা গ্রামে মোহাম্মদ নুরুল হক প্রকাশ মিয়ার বাড়ি থেকে মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে সেলিনা আকতার (২৩) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছ থানা পুলিশ।

গৃহবধুর মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা এনিয়ে এলাকায় বেশ গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবী শশুর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করেছে। এব্যাপারে থানায় আত্মহত্যায় বাধ্যকরার অপরাধে স্বামী শাশুর শাশুড়িসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পযর্ন্ত আসামীরা পলাতাক। কাউকে আটক করা হয়নি। মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার মো. সোনা মিয়ার মেয়ে সেলিনা আকতারের সাথে নিহত সেলিনা আকতারের সাথে হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল হক প্রকাশ মিয়ার বাড়ি হাজী নুরুল আলমের পুত্র প্রবাসী মো. সাদ্দাম হোসেনের (৩০) সাথে ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেলিনা আকতারের উপর বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনা নির্যাতন চালাত।

এ নিয়ে অনেক সময় উভয় পরিবারের মধ্যে সালিশি বৈঠকও হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সেলিনা আকতারের শাশুর হাজী নুরুল আলম (৬০) সেলিানা আকতারের পিতা সোনা মিয়াকে মুঠো ফোনে জানায় সেলিনা আকতার আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখে তাদের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার সাথে সাথে সেলিনা আকতারের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

এঘটনায় সেলিনা আকতারের পিতা সোনা মিয়া বাদী হয়ে স্বামী মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০), হাজী নুরুল আলম (৬০), মল্লিকা খাতুন(৫০), মো. এমরান (৩২), ও মো. সাজ্জাদ হোসে (২৭)কে আসামী করে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, সকালে আমাদের ফোন করে বলে তোমার বোন ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি ফ্যানের সাথে ওড়না ঝুঁলানো, খাটে পড়ে আছে আমার বোনের লাশ। আমাদের সন্দেহ হলে আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ আসার সাথে-সাথে তারা আমার বোনের চার বছরের ছেলে নিয়েও পালিয়ে গেছে। আমরা এটার বিচার চাই।'

তবে সেলিনা আকতারের শ্বশুর নুরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকালে আমরা বাড়িতে কেউ ছিলাম না। পুত্র বধুর আত্মহত্যার খবর পেয়ে দ্রুত বাড়ি আসি।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। স্বামীসহ সবাই পলাতক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে । ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন