
ইসরায়েলকে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক ফ্লোটিলা কর্মীদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী জাহাজ কনশেনস ও ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের অন্যান্য জাহাজে থাকা সব ব্যক্তির নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান এ আহ্বান জানান। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইরিন খান বলেন, ‘সমুদ্রে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের এ হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আরও একটি লঙ্ঘন।’বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ভোরে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এসব জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার আটক করেছে বলে জানা গেছে। একই সময় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সদস্যরা জাহাজগুলোয় ওঠেন। ধারণা করা হচ্ছে, আটকের এ ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটানো হয়েছে। ফ্লোটিলা সদস্যদের আটক করা হয়েছে এবং তাঁদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরের দিকে নেওয়া হচ্ছে।ফ্লোটিলার প্রধান জাহাজ কনশেনসে ছিলেন ৯২ যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা গাজার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে যাত্রা করেছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক। তাঁরা ১০টি দেশের ও ডজনখানেক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করছিলেন।আইরিন খান ফ্লোটিলার ক্রু ও সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কর্মীরা ইসরায়েলি হেফাজতে থাকাকালে অসদাচরণের শিকার হওয়ার কথা ব্যক্ত করার পর।আইরিন খান বলেন, ‘ইসরায়েলের দায়িত্ব হলো যাঁদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে, তাঁদের সব অধিকার নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া এবং নির্যাতনের শিকার হওয়া বা খারাপ আচরণ থেকে রক্ষা করা। আমরা ইসরায়েলকে আহ্বান জানাই, যেন তারা অবিলম্বে তাঁদের আইনজীবী ও কনস্যুলার সেবা পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করে।’
আইরিন খান আরও বলেন, ‘এই সাহসী সাংবাদিকেরা স্থানীয় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে সমুদ্রপথে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিপদের মধ্যে থেকেও সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ পর্যন্ত ২৫২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি বন্ধে তাঁদের অনেককে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার বলেন, কনশেনসে থাকা আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের লক্ষ্য ছিল গাজায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অবাধ প্রবেশে ইসরায়েলের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা ভাঙা। তিনি আরও বলেন, ‘গাজা এবং ফ্রিডম ফ্লোটিলার সাংবাদিকদের সাহসী প্রচেষ্টা বৃথা যেতে পারে না। অবরুদ্ধ গাজায় তাৎক্ষণিকভাবে ও অবাধে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার এবং সেখানে থাকা সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই চাপ দিতে হবে।’আইরিন খান এই বলে শেষ করেন, ‘যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁরা মতপ্রকাশের অধিকার এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি দেখানো ও সাহায্য করার স্বাধীনতা রাখেন। ইসরায়েলের দায়িত্ব এ অধিকারগুলোর সম্মান করা।’
বিপি>টিডি
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন



সামরিক সংঘর্ষের পর আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনলে দুই দেশেরই উপকার: হামু দর্জি

মিশরে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গাজা শান্তিচুক্তিতে সই করলেন ট্রাম্প
