১৪ অক্টোবর ২০২৫

‘বাংলাদেশে করোনা টিকা পরীক্ষা হওয়া উচিত'

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
‘বাংলাদেশে করোনা টিকা পরীক্ষা হওয়া উচিত'
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে টিকার পরীক্ষা বাংলাদেশে হওয়া উচিৎ বলে জানিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। বুধবার ( ১৯ আগস্ট) জাতীয় পরামর্শক কমিটির ১৭তম অনলাইন সভায় তারা এ প্রস্তাব করেছে। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার পক্ষে রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। কোভিড-১৯ বিশ্ব মহামারী মোকাবেলায় টিকার গুরুত্ব বিবেচনা করে জাতীয় পরার্মশক কমিটি এ প্রস্তাব দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার মাধ্যমে জনগণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টিকার পরীক্ষা বাংলাদেশে হওয়া উচিৎ। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়াসহ বিশ্বের যে সব দেশ টিকার গবেষণায় এগিয়ে আছে, তাদের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অন্য দেশও অংশগ্রহণ করছে। যেমন- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা ব্রাজিল ও ভারতে হচ্ছে, চীনের সিনোভ্যাক টিকা ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, ফিলিপিন ও তুরস্কে হচ্ছে। বাংলাদেশে টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা হলে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তা প্রমাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া এই টিকা সফল প্রমাণিত হলে সর্বাগ্রে পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া থাকবে। পরামর্শক কমিটি জানিয়েছে, টিকা আন্তর্জাতিক বাজারে এসে গেলে তা কিভাবে প্রথমেই বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় তার বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনই করতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে কী পরিমাণ টিকার প্রয়োজন, তা সংগ্রহে কত খরচ হবে কিংবা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে কিনা এসব বিষয়ে এখনই হিসাব দরকার। কমিটির প্রস্তাব, যে সব প্রতিষ্ঠান বা দেশ টিকার ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে আছে তাদের সঙ্গে এখন থেকেই যোগাযোগ করা উচিৎ যেন টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ তা পেতে পারে। একইসঙ্গে টিকা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বা ক্রয়ের প্রস্তুতিও থাকতে হবে। টিকা প্রাপ্তির পর তা সংরক্ষণ, বিতরণ, লোকবল, সরঞ্জামসহ সকল পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা এখনই চূড়ান্ত করতে হবে। টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা অগ্রাধিকার পাবে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অগ্রাধিকারে কারা পাবে সেটাও নির্ধারণ করে রাখা প্রয়োজন। সাধারণত প্রথম ব্যবহারযোগ্য ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমেই বিতরণ করা হয়। একটি নির্দিষ্ট মাথাপিছু আয়ের নিচে থাকা দেশগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিনা মূল্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে। যেটি সময় সাপেক্ষ মন্তব্য করে কমিটি জানিয়েছে দ্রুত ব্যবস্থার মাধ্যমে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি এবং প্রয়োজনীয় অগ্রিম অর্থ প্রদান করার প্রয়োজন হতে পারে। বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন