১৪ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বের সকল অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার আহবান বাংলাদেশের

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
বিশ্বের সকল অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার আহবান বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের সকল অভিবাসী ও তাদের পরিবারবর্গকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেন্বর) কোভিড-১৯ কালে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে প্রদত্ত উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এসব কথা বলেন। সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করেন রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসমূহের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন (আইএফআরসি), আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগাল ও মরক্কো মিশন এবং ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন গ্রুপ। উল্লেখ্য বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন গ্রুপের কো-চেয়ার। সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধির প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বিবেচনায় নিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকায় সকলের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আহবান জানিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা নাজুক পরিস্থিতিতে পতিত অভিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা, ঔষধ ও সরঞ্জামাদির সহজলভ্যতা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পুন:আহবান জানান। বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা পরিধির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নাজুক পরিস্থিতির শিকার অভিবাসীদের সেবাপ্রদান ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। করোনা অতিমারিজনিত কারণে লাখ লাখ অভিবাসী ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন গত জুন মাসে গৃহিত অভিবাসীদের উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক যৌথ বিবৃতিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ যা ১০৩টি দেশের সমর্থন অর্জন করে। বিবৃতিটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে জাতীয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নীতি এবং পরিকল্পনায় অভিবাসীদের স্বাস্থ্য চাহিদার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। করোনা অতিমারি মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে অভিবাসী এবং বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে প্রদত্ত বক্তব্যে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। অভিবাসনের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, 'স্বাস্থ্যবান অভিবাসীই কর্মক্ষম অভিবাসী'। তিনি আইওএম, আইএফআরসি ও ডব্লিউএইচও-কে এ বিষয়ক উত্তম অনুশীলন ও নীতিসমূহ পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করার আহবান জানান। সর্বত্র অভিবাসীদের অধিকার, কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতা মোকাবিলার জন্য সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছার আহবানও জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। সভাটিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইএফআরসি’র সভাপতি ও আইওএম এর মহাপরিচালক। বিপি।এসএম  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন