১৪ অক্টোবর ২০২৫

বোয়ালমারীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
বোয়ালমারীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা

ফরিদপুর থেকে সংবাদদাতা: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের মমতাজ বেগমের (৫০) নামে চেক জালিয়াতির মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চেক জালিয়াতির মামলাটি করেছেন পার্শ্ববর্তী জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ আহম্মদ আলী (৯০)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মমতাজ বেগমের স্বামী মো. চুন্নু মোল্যা ওরফে শামচুল হক আইনউদ্দিন ও মামলার বাদী সৈয়দ আহম্মদ আলীর ছেলে সৈয়দ আমিনুর ইসলাম কুয়েতে চাকরি করতো। বিদেশে চাকরি কালীন সময়ে সৈয়দ আমিনুর ইসলাম মারাত্বক আহত হয়ে ২০১৫ সালে দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে আসার ১ মাস ১১ দিন পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আমিনুর ইসলামের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় কুয়েতি কোম্পানী।

সে মোতাবেক কুয়েতে অবস্থানরত পার্শ্ববর্তী গ্রামের চুন্নু মোল্যার কাছে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিলে তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের মাধ্যমে নিহতের বাবা সৈয়দ আহম্মদ আলীর নিকট গত রমজান মাসে ওই টাকা পৌছে দেয়া হয়। পরবর্তী কিস্তিতে আরও ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিলে গত ৬ মে ২০১৯ ইং তারিখে সৈয়দ আহম্মদ আলী মমতাজ বেগমের বাড়িতে টাকা নিতে যায়। নগদ টাকা না থাকায় মমতাজ বেগম সরল বিশ্বাসে টাকার পরিমাণ লিখতে না পারায় শুধুমাত্র চেকের পাতায় সহি করে সৈয়দ আহম্মদ আলীকে চেকটি দিয়ে ২ লাখ টাকা লিখে নিতে বলেন। কিন্তু সৈয়দ আহম্মদ আলী কৌশলে ২লাখ টাকার স্থলে ২১ লাখ টাকা লিখে নেয়।

পরবর্তীতে গত ৭ মে ওই টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংক ময়েনদিয়া শাখায় গেলে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার করা হয়। এরই সূত্র ধরে সৈয়দ আহম্মদ আলী ফরিদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭নং আমলী আদালতে একটি চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ময়েনদিয়া শাখার ম্যানেজার প্রতাপ কুমার দত্ত বলেন, মমতাজ বেগমের অ্যাকাউন্টে চেকের সমপরিমাণ টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার করা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম বলেন, আমি পড়ালেখা জানি না। স্বামী বিদেশ থাকায় নিজ নামে সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলি। লেখাপড়া না জানায় শুধু সহি করে ২ লাখ টাকা লিখে নিতে বলে আহম্মদ আলীকে চেকটি দেই। কিন্তু সে প্রতারণার মাধ্যমে ২ লাখের স্থলে ২১ লাখ লিখে চেকটি ব্যাংকে জমা দেয়।সৈয়দ আহম্মদ আলীর মোবাইল ফোনে (০১৭২০-১১১৯৬৪) একাধিকবার কল করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন