১৪ অক্টোবর ২০২৫

বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের বাধায় জমিতেই নষ্ট হলো ধান

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের বাধায় জমিতেই নষ্ট হলো ধান

বিপ্লব আহমেদ, ফরিদপুর থেকে: বিবদমান দুই পক্ষের বিরোধের জেরে বোয়ালমারী পৌরসভার আমগ্রাম মৌজায় ৪০ শতক জমির ধান ঝরে জমিতেই নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ের নিকট থেকে বন্দবস্ত নিয়ে ওই জমি চাষবাষ করে আসছেন আমগ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোসা. সূর্য্য খাতুন। বর্তমানে সূর্য্য খাতুনের ছেলে আয়ুব মীর ওই জমি দেখাশুনা করেন। সম্প্রতি ১৩ শতক জমির মালিকানা দাবি করে ধান কাটায় বাধাদেয় কামারগ্রামের বাসিন্দা হাবিব মৃধা।

মো. আইয়ুব আলী মীর জানান, গত ৫০ বছর ধরে রেলের ১একর ৮শতক জমি আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে বন্দবস্ত এনে চাষ করে আসছি। এ বছর প্রথমে কিছু জমির ধানও কাটা হয়। শুধু ৪০ শতক জমির ধান কাঁচা থাকায় রেখে দেই। সম্প্রতি হাবিব ১৩ শতক জমির মালিকানা দাবি করে ধান কাটায় বাধাদেয় এবং জমি দখল করার চেষ্টা করে। রেলওয়ের যে ডিসিয়ারের বলে হাবিব মৃধা মালিকানা দাবি করছে তা মূলত কামার গ্রাম মৌজায়। অথচ আমার বন্দবস্ত নেয়া জমি আম গ্রাম মৌজায়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে জমির মালিকানা নিষ্পত্তির আগে আমার জিম্মায় ধান কেটে রাখাতে বলে। কিন্তু ধান কাটতে গেলে আবারও বাধসাধে হাবিব মৃধা ও তার লোকজন। ফলে ধান না কাটতে পারায় পাকা ধান জমিতেই বিনষ্ট হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাবিব মৃধার সাথে যোগযোগ করাহলে তিনি বলেন, আমি রেলওয়ের নিকট থেকে ১৩ শতক জমি বন্দবস্ত নিয়েছি। ভুলবশত আমগ্রাম মৌজার স্থলে কামারগ্রাম মৌজা লেখা হয়েছে। পরবর্তীতে এটি সংশোধন করা হবে।

সালিশকারক ৫নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম মেম্বর বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আয়ুব মীরকে ধান কাটতে বাধা দিয়েছে হাবীব মৃধা। হাবীব মৃধার জমির কাগজের নির্দিষ্ট চৌহদ্দি এবং মৌজা কোনটায় আইয়ুব মীরের বন্দবস্তকৃত জমির সাথে মিল নেই। এ ব্যাপারে এসআই নারান চন্দ্র জানান, ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইয়ুব মীরকে ধান কেটে রাখার জন্য বলেছিলাম কিন্তু অপরপক্ষ জমি থেকে ধান কাটতে দেয়নি। দ্রুত বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন