
চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড উদ্যাপনকারী কর্মচারীদের ‘নজরদারিতে’ রেখেছে পেন্টাগন


মিনারা হেলেন: বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ লিখেছেন 'আমরা চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড উদ্যাপনকারী কর্মচারীদের খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
হেগসেথের এই প্রতিক্রিয়া আসে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেলের এক বিবৃতির পর। পারনেল আগেই বলেছিলেন, “সামরিক সদস্য বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের (ট্রাম্প প্রশাসনের পছন্দের ভাষায় ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’) বেসামরিক কর্মীদের জন্য কোনো সহকর্মী আমেরিকানের হত্যাকাণ্ড উদ্যাপন বা উপহাস করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। প্রতিরক্ষা দপ্তর এ ব্যাপারে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করে।”
তবে কারা কার্কের মৃত্যুকে ইতিবাচকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট উদাহরণ দেওয়া হয়নি।
ট্রানিং পয়েন্ট ইউএসএর সহপ্রতিষ্ঠাতা, ৩১ বছর বয়সী চার্লি কার্ককে গত বুধবার উটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গলায় গুলি করে হত্যা করা হয়। তল্লাশির পর কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন শ্যুটার হিসেবে ২২ বছর বয়সী উটা’র তরুণ টাইলার রবিনসনকে শনাক্ত করেন।
কার্কের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সব জীবিত সাবেক প্রেসিডেন্টরাও। তবে সামাজিক মাধ্যমে অল্প কিছু মানুষ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ব্যঙ্গ বা উল্লাস করেছে, যা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর প্রধানেরা তাঁদের অধীনস্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কার্ককে নিয়ে কোনো অনুপযুক্ত মন্তব্য করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌবাহিনীর সচিব জন ফেলান সতর্ক করেছেন নাবিক, মেরিন ও বেসামরিক কর্মীদের যে তারা “বিভাগকে কলঙ্কিত করলে দ্রুত ও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।”
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “আমি জানি, এমন কিছু পোস্ট হয়েছে যেখানে এক আমেরিকানের হত্যাকাণ্ডকে ঘৃণার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি স্পষ্ট করতে চাই: নৌবাহিনী দপ্তরের যে কোনো ইউনিফর্মধারী বা বেসামরিক কর্মী যদি এমন কোনো আচরণ করেন, যা নৌবাহিনী বা মেরিন কর্পসকে কলঙ্কিত করে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকেও জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে এক সদস্যের “অনুপযুক্ত ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যকলাপের” ব্যাপারে তারা অবগত। তবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি। সিএসআপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প
