
চার্লি কার্ককে হত্যার অভিযোগে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে: কাশ প্যাটেল


নোমান সাবিত: বুধবার রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল।
হেফাজতে থাকা ব্যক্তিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন প্যাটেল। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং স্বচ্ছতার স্বার্থে আমরা তথ্য প্রকাশ করতে থাকব।
এ পর্যন্ত চলমান তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দুইজনকে আটক করেছিল, তবে দুজনকেই কোনো অভিযোগ ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আরও কাউকে আটক করা হয়েছে কি না বা গুলি চালানো হামলাকারী এখনও পলাতক কি না তা স্পষ্ট নয়।
উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ওরেম ক্যাম্পাসে বুধবার চার্লি কার্কের গলায় গুলি লাগার ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর প্যাটেল জানান যে, ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সন্দেহভাজন একজন তাদের হেফাজতে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর স্পেন্সার কক্স (রিপাবলিকান) বলেন, সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে এবং এই ঘটনাকে তিনি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেন।
গুলির ঘটনার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করেছিল, তবে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উটাহ জননিরাপত্তা বিভাগের কমিশনার বো ম্যাসন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা শনাক্ত করার পর নিশ্চিত হই যে তিনি হামলাকারীর সঙ্গে মেলে না এবং প্রকৃত সন্দেহভাজনও নন।
তবে ম্যাসন বলেন, তাকে ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটি পুলিশ বিভাগ স্থানীয় জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা এখনও প্রকৃত সন্দেহভাজনকে ঘিরে সক্রিয় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।
বুধবার আমেরিকার উটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটি চত্বরে ভাষণ দেওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন এক যুবক। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন চার্লি।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি ছোট তাঁবুর নীচে বসে আছেন চার্লি। তখনই গুলির বিকট শব্দ। চেয়ার থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনি। মুহূর্তে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে যেদিকে পারে পালাতে শুরু করে। চার্লির গলায় গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, এখনো দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার পরে উটা-র সিনেটর মাইক লি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। সবাইকে অনুরোধ, চার্লি কার্ক এবং সেখানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য দয়া করে প্রার্থনা করুন। ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে চার্লির মৃত্যুর পর ট্রুথ সোশ্যালে করা এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, কিংবদন্তি, চার্লি কার্ক আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের হৃদয়কে চার্লির মতো আর কেউ এতটা বোঝেনি বা অনুভব করেনি। তিনি সবার কাছেই প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ছিলেন, বিশেষ করে আমার কাছে, আর এখন তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। মেলানিয়া এবং আমি তার স্ত্রী এরিকা এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। চার্লি, আমরা তোমাকে ভালোবাসি!
চার্লি কার্ক ট্রাম্পের রক্ষণশীল কর্মী
যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী নেতাদের মধ্যে চার্লি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারও। স্পষ্ট বক্তা হিসেবেই পরিচিত। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেও পিছ পা হন না। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বিতর্কে বসেন তিনি। তার ‘Prove Me Wrong’ অনুষ্ঠান আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, যে কেউ তার সঙ্গে বিতর্কে যোগ দিতে পারেন। তার বহু বিতর্কের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি। সিএসআপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প
