১৩ অক্টোবর ২০২৫

'ছোট নৌকা গাজায় পৌঁছাতে পারলে, বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন নয়?'

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ এএম
'ছোট নৌকা গাজায় পৌঁছাতে পারলে, বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন নয়?'

 


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরায়েলের আরোপিত নৌ-অবরোধের কার্যকারিতা ও বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাবিশ্ব থেকে মানবাধিকার কর্মীরা যখন ছোট ও কম সম্পদের কয়েক ডজন নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছেন এবং ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজার কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছেন, তখন শক্তিশালী নৌবাহিনীসমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো কেন একই কাজ করতে পারছে না— সেই প্রশ্নই তুলেছেন আলবানিজ।

আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন: “যখন ‘বিশ্বের সাধারণ নাগরিকেরা’ ছোট ও কম সম্পদের নৌকায় করে গাজার ৬০ নটিক্যাল মাইল (১১১ কিলোমিটার) দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, তখন বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন সহজেই ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে পারছে না, সেটিই বড় প্রশ্ন।”

তিনি আরও লেখেন, “রাষ্ট্রগুলো কেন তাদের নৌবাহিনী দিয়ে অবরোধ ভাঙছে না? এ কেমন পৃথিবীতে আমরা বাস করছি? না, আমরা এটিকে মেনে নেব না।” আলবানিজ গাজামুখী এই সহায়তা বহরের (ফ্লোটিলা) নিরাপদ যাত্রা কামনা করে বলেন, ‘চলো, এগিয়ে চলো ফ্লোটিলা! নিরাপদে যাত্রা করো। সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সহায় হোক।’

প্রসঙ্গত, বুধবার গাজা উপকূল থেকে কিছু দূরে ১৩টি নৌকা বা ফ্লোটিলা আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, গাজা উপকূল থেকে ৪৬ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে ওই নৌকাগুলোকে আটক করা হয়। আটকের পর নৌকাগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানকার মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে মানবাধিকার কর্মীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ১৩টি নৌকা আটক করলেও এখনো ৩০টি নৌকা গাজার দিকে তাদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তারা গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য যাচ্ছিলেন।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন