১৪ অক্টোবর ২০২৫

ডাকসুর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ডাকসুর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের আগে এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল হচ্ছে। সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে সাময়িক বাতিল করেছে। আর তাতে বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতাও বৈধ ছিল না। এর প্রেক্ষিতে জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। ওই নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি এই সুপারিশ করেছে। গোলাম রাব্বানীর জিএস পদ বাতিল হলে ওই নির্বাচনে রাশেদ খানকে ডাকসুর জিএস ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিলের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, দীর্ঘসময় পরে হলেও আমি ন্যায়বিচার পেতে যাচ্ছি। রাশেদ খান বলেন, ‘গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের ভোটে জিএস নির্বাচিত হয়নি। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে পছন্দ করতো না। সেই নির্বাচনে আমাদের প্যানেল ১১টি পদে জয়ী হলেও মাত্র দুই পদে আমাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পরে হলেও আমি ন্যায়বিচার পেতে যাচ্ছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, তারা গুরুত্বের সঙ্গে আমার অভিযোগ বিবেচনা করেছে।’ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে কিছু প্রার্থী/প্যানেলের পক্ষ হতে ভোটদান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কারচুপি করা, ভোট দানের জন্য কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা, ভোট কেন্দ্র দখল করা, ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে সিল মারা, ভোট দানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, ব্যালট-বাক্সসহ নানা কারচুপি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ডাকসুর ওই নির্বাচন। নির্বচান কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ভিপি পদে বিজয়ী হন নুরুল হক নুর। তিনি ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ১২৯। এদিকে ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়েছে জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানীকে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মো. রাশেদ খান। তিনি প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৬৩ ভোট। গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। সিন্ডিকেটে তাকে অবৈধ ঘোষণা করলে নির্বাচনের ৬ বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান। ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় আছেন তিনি [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন