-68eba6bfe183f.jpg)
ডাক্তার নার্স ও টেকনোলজিষ্ট ছাড়াই আয়া-বুয়া দিয়ে চলছে লক্ষ্মীপুরের ‘মাদারল্যান্ড হসপিটাল’



আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর থেকে : মাত্র কয়েক জন আয়া-বুয়া দিয়ে চলছে দশ শয্যার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের কার্যক্রম। রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে ছাড়পত্র দেওয়া পর্যন্ত প্রায় সকল কাজই করতে হয় তাদের। হাতের জোস ভালো, তাই ডেলিভারি কিংবা ছোট খাটো অপারেশনেরও দায়িত্ব পালন করেন তারা। বিশেষ প্রয়োজনে অনকলে সরকারি- বেসরকারি ডাক্তারদের ডেকে নেন কর্তৃপক্ষ।
মাদারল্যান্ড হসপিটাল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাটিতে ৬ জন নার্স কর্মরত রয়েছে দাবী করলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায় হাসপাতালটিতে কর্মরত ৬জন র্নাস এর কারোই নার্সিং পেশায় কোন সনদ বা ডিগ্রী নেই। তাদের অধিকাংশই হাসপাতালে কাজ করেই নার্স হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। অন্যদিকে অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ এবং ল্যাবের টেকলোজিষ্টদেরও সংশ্লিষ্ট পেশার কোন সনদপত্র নেই। প্রচার করা হচ্ছে হাসপাতালটিতে সার্বক্ষনিক রোগী দেখেন ডাক্তার মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ ও ডিউটি ডাঃ সোহাদা ইয়াসমিন। কিন্ত গত শনিবার (১১ মে) সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় তাদের কেউই হাসপাতালে উপস্থিত নেই। তাঁরা দুজনই উচ্চতর ডিগ্রী নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ঐ দিন অনকলে আসা কোনো ডাক্তারকেও দেখা যায় নি। অথচ ৬ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। একজন প্রসূতি রোগী ভর্তি করা হয়।
ডাক্তারদের অনুপস্থিতিতে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় হাসপাতালটির (কথিত নার্স) আয়া-বুয়াদের। ভর্তি হওয়ার আগে বুঝতে না পারলেও এরপর ঠিকই রোগীরা বোঝেন হাসপাতালটির কি দশা। জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে এভাবেই চলছে হাসপাতালটি।

এবিষয়ে মাদারল্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম নুরুল আলম অভিযোগ স্বীকার বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে ৪৪টি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ১১টি হাসপাতাল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একই দশা। জেলায় কোনো নার্সিং ইনস্টিটিউট ও মেডিকেল কলেজ না থাকায় এমন সংকটে পড়তে হচ্ছে আমাদের। জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা খালেদ আহম্মেদ বলেন, আমাদের অফিসে হাসপাতালটির কাগজ পত্র জমা আছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিপি/আর এল
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন
-68eba6bfe183f.jpg)




নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভাষা সৈনিক ইউনুস আলীর রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন সম্পন্ন
