১৫ অক্টোবর ২০২৫

ধর্ষণ মামলার কথিত বাবা-মা আটক

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ধর্ষণ মামলার কথিত বাবা-মা আটক

জাহেদুল ইসলাম, কক্সবাজার থেকে : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন মামা ভাগ্নিকে ধর্ষণের অপরাধে সাজানো মামলার বাদিনীকে আটক করেছে পুলিশ।

জানাযায় কক্সবাজরের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মুহুরী পাড়া গ্রামের মৌলভী ফরিদকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বর্তমানে শহরতলীর জেল গেইট এলাকার বাসিন্দা আলমগীর।যিনি আপন ভাগ্নীর পরিবারকে এবং ভাগ্নীকে প্রলোভন দেখিয়ে মামা নিজেই ধর্ষণ করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে।নিজ ঘরে সুইটি আকতার(১৪)নামক ভাগ্নীকে কে ধর্ষণ করে মামা নূরন্নবী।যার অপরাদের স্বিকার হয় প্রতিপক্ষ মৌলভী ফরিদ।কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়ের করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা।যার মামলা নং-৭।কিন্ত মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে সন্ধিহান তদন্তকারী কর্মকর্তা।কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ যার বিচক্ষণতায় উটে আসে প্রকৃতঘটনা।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান,বিগত ১৯ দিন আগে মামিকে কথিত মা সাজিয়ে মৌলভী ফরিদকে আসামী করে নারী নির্যাতন মামলা করা হয়।পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে সুইটি ও তার মা লতিফা বেগমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রকৃত সত্য ঘটনা প্রকাশ পায়।মূলত বাদী নূরন্নবীর সাথে প্রতিপক্ষ মৌলভী ফরিদের জায়গা জমির বিরোধ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত।উভয় পক্ষের মামলা আদালতে বিচারাধীন।কোনোভাবেই প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে না পেরে মিথ্যা এই ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।ঘটনার মুল রহস্য উৎঘাটনের পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে মামা-মামির ঠিকানা হলো কারাগারে।আটক করা হয় কথিত মা বাবাকে।ভিকটিম সুইটি ও তার প্রকৃত মায়ের জবানবন্দিতে মামা নূরন্নবী,মামী আমেনা খাতুন এবং জনৈক মেম্বার আলমগীরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।যার মামলা নং-৬১।এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দীন খন্দকার(পিপিএমবার)ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।এবং মামলার অন্য আসামী জনৈক মেম্বার আলমগীরকে ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন