
গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে শিশুসহ অন্তত ৪২৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১৪৫ জন শিশুসহ ৪২৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন ক্ষুধায়। সোমবার স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় অনাহারে ৩ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে গত একদিনেই।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি গণহত্যা যুদ্ধে মোট মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ১ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে, গাজায় নৃশংস হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ইসরায়েল সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দিয়ে যাবে তার দেশ। উপত্যকাটি থেকে হামাসকে নির্মূল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। রুবিও ইসরায়েলে পৌঁছান রবিবার। এরপর সোমবার জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এমন পদক্ষেপ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তা শুধু হামাসকে আরও সাহসী করে তুলবে।
বিশ্লেষকরা আগে থেকেই দুর্ভিক্ষের কথা বলে আসলেও গত ২২ আগস্ট জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)-এর বিশেষজ্ঞরা প্রথমবারের মতো গাজার পরিস্থিতিকে 'দুর্ভিক্ষ' হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। একই দিনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় দাবি করে, ইসরায়েল গাজাকে 'ক্ষুধার্ত' করছে না, বরং তারা 'দুর্ভিক্ষ রোধ' করছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ওলগা চেরেভকো ২৬ আগস্ট বলেছেন, গাজা উপত্যকার দুর্ভিক্ষ সম্পূর্ণরূপে মানবসৃষ্ট। এটি এড়ানো যেত।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/টিআই
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন




গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প

ভারতের ৩ কাশির সিরাপের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা
