১৩ অক্টোবর ২০২৫

গুমের সত্য উন্মোচনে তথ্যচিত্র প্রকাশ করল কমিশন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
গুমের সত্য উন্মোচনে তথ্যচিত্র প্রকাশ করল কমিশন

বাংলাপ্রেস ডেস্ক:   গুম হওয়া ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য উন্মোচনে তথ্যচিত্র প্রকাশ করল গুম কমিশন। তথ্যচিত্রে গুম কারা করত, কিভাবে করত, গুমের পর নিখোঁজদের কোথায় এবং কিভাবে আটকে রাখা হতো, তাদের পরিণতি কী হতো এবং কারা কারা এই কাজে সরাসরি জড়িত ছিল।

 

বাংলাদেশ সরকার গঠিত গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে, যেখানে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কমিশনের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে।

গতকাল বুধবার গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির জনসংযোগ কর্মকর্তা কেএম খালিদ বিন জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশন পুলিশ, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং নিখোঁজদের পরিণতি নির্ণয়ে নিরবচ্ছিন্ন অনুসন্ধান পরিচালনা করেছে। একইসাথে গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য ‘ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ ইস্যুর সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আইনের সংশোধনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বিষয়ে নীতিগত পরামর্শ প্রদান করেছে।

কমিশন জানায়, এই তথ্যচিত্র কেবল অনুসন্ধানের বিবরণ নয়; এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনআস্থা পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল। তথ্যচিত্রটি কমিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে নিম্নোক্ত লিংক থেকে সরাসরি দেখা যাবে: https://youtube.com/@gumcommission?si=rUwmY6bMm4qKYmdB

এছাড়া ইতোমধ্যে কমিশন দু’টি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রতিবেদন দু’টির প্রকাশযোগ্য অংশসমূহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (https://coied.portal.gov.bd) উন্মুক্ত রয়েছে এবং তা দেশের জনগণের জন্য সহজলভ্য। প্রতিবেদন দু’টি নিচের লিংকসমূহে পাওয়া যাবে:

গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো ৩০০-এর বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে কমিশন প্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। 

বিপি>টিডি

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন