১৪ অক্টোবর ২০২৫

হুন্দাইয়ের পর আরো প্রতিষ্ঠানে ধরপাকড় চালাবে যুক্তরাষ্ট্র : শীর্ষ কর্মকর্তা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
হুন্দাইয়ের পর আরো প্রতিষ্ঠানে ধরপাকড় চালাবে যুক্তরাষ্ট্র : শীর্ষ কর্মকর্তা
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হুন্দাইয়ের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তারের পর আরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিবাসন আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে নজর দেবে বলে হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা রবিবার জানিয়েছেন। সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের সীমান্ত উপদেষ্টা টম হোম্যান জানান, প্রশাসন কর্মক্ষেত্রে নজরদারি জোরদার করবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আরো বেশি কর্মক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ অভিযান চালাব। কেউ অবৈধ অভিবাসীকে মানবিক কারণে চাকরি দেয় না।তারা দেয়, কারণ তাদের দিয়ে বেশি কাজ করানো যায়, কম মজুরি দেওয়া যায়, আর যারা মার্কিন নাগরিক কর্মচারী নিয়োগ করে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমানো যায়।’ ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপের বিরোধীরা এবং কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বলছে, কৃষি, পর্যটন খাত, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শিল্পগুলো অবৈধ অবস্থায় থাকা অভিবাসীদের ওপর নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জর্জিয়ায় অবস্থিত হুন্দাইয়ের ওই কারখানায় অভিযানে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের বেশির ভাগই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার রবিবার জানায়, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) এক কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল এবং কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ পার করে থেকেছিল। এ ছাড়া আইসিইর একজন পৃথক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অনেকের কাছে পর্যটন ও ব্যবসায়ী ভিসা ছিল, যা কাজের অনুমতি দেয় না। জর্জিয়ায় এই গ্রেপ্তারের ঘটনা অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের আরো কঠোর বক্তব্যের পর এলো।কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রাম্প ও তার শীর্ষ কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, প্রশাসন শিকাগোতে অপরাধ ও অভিবাসন মোকাবেলায় ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী ও ফেডারেল কর্মকর্তাদের পাঠাতে পারে। ট্রাম্প শনিবার তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম ট্রুথ সোশ্যালে ১৯৭৯ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধভিত্তিক সিনেমা অ্যাপোক্যালিপস নাউ থেকে তৈরি একটি মিম শেয়ার করেন। সেখানে আগুন আর হেলিকপ্টারের সঙ্গে শিকাগোর স্কাইলাইনের ছবি দেখানো হয়, যা ওই সিনেমার ভিয়েতনামী গ্রামের ওপর ভয়াবহ হেলিকপ্টার হামলার দৃশ্যের সঙ্গে মিল রাখে। সিএনএনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোম্যান এই মিমের পক্ষে সাফাই দেন, যদিও শিকাগোর বাসিন্দারা ও অন্যরা এর যুদ্ধসদৃশ চিত্র ও শহরকে সামরিক টার্গেট হিসেবে দেখানোর ইঙ্গিতের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং ট্রাম্প প্রশাসন শুধু অপরাধী ও যারা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করছে তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছে। [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন