১৫ অক্টোবর ২০২৫

হ্যাস মি টু ইস্যুতে হার্ভার্ডে ডাক পেলো তনুশ্রী দত্ত

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
হ্যাস মি টু ইস্যুতে হার্ভার্ডে ডাক পেলো তনুশ্রী দত্ত

বিনোদন ডেস্ক: প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ও অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের পরিচিতিটা একটু বদলেছে। অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে #MeToo আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলতেই তনুশ্রী আন্তর্জাতিক কাগজের শিরোনামে উঠে আসেন। পাশে পান বলিউডের বহু সতীর্থকেও। বিদেশ থেকেও অনেকে সমর্থন করেন তনুশ্রীর দশ বছরের জার্নিটাকে। আর সেই কষ্টের কথা শুনতেই এবার ডাক এল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

দেশে #MeToo আন্দোলনের পথিকৃত হিসেবে তনুশ্রীর অভিনয় এবং মডেলিং কেরিয়ারের প্রথম ইনিংসের পরিচয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচিতি। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তাঁর মুখ খোলার পর তা রীতিমতো আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। আর এই লড়াকু জীবনের কথা তাঁরই মুখ থেকে শুনতে ডেকে পাঠাল হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল। রবিবার ইনস্টাগ্রামে নিজেই সে কথা জানালেন তনুশ্রী দত্ত।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বস্টনের ম্যাসাচুসেটসের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে ‘ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০১৯’-এর উদ্বোধন করবেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও কেনেডি স্কুলের স্নাতকস্তরের পড়ুয়ারা। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তনুশ্রী। পাশাপাশি, এই অনুষ্ঠানে বক্তা হিসাবে থাকবেন সমাজসেবী অরুণা রায়, সাংবাদিক বরখা দত্ত, পরিচালক এস এস রাজামৌলি এবং রাজনীতিবিদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

২০১৮ সালে প্রথম কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের প্রতিবাদে সরব হন তুনশ্রী। তাঁর অভিযোগ অভিনয়ের মঞ্চে তাঁকে হেনস্তা করেছেন নানা পাটেকর। শুধু তাই নয়, অভিনেতার কথাতেই মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা তনুশ্রীর গাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকী, তিনি কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, নানা পাটকরের সব অপকর্মে প্রচ্ছন্ন মদত ছিল গণেশ আচারিয়ার। যদিও তনুশ্রীর সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন নানা ও গণেশ। এনিয়ে বলিউডে জলঘোলা হয় বিস্তর। ক্রমশ একের পর এক অভিযোগ উঠে আসতে থাকে।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন