১৪ অক্টোবর ২০২৫

কর্ণাটকের এক দুর্গে পাওয়া গেছে টিপু সুলতানের ‘রকেট’

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
কর্ণাটকের এক দুর্গে পাওয়া গেছে টিপু সুলতানের ‘রকেট’

বাংলাপ্রেস অনলাইন : ভারত উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম প্রতীক টিপু সুলতান। তৎকালীন মহিশুরের এই কিংবদন্তি শাসকের আমলের রকেট খুঁজে পেয়েছে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কর্ণাটকের এক দুর্গের পরিত্যক্ত কুয়ায় পাওয়া গেছে এই রকেট। তাও আবার একটি-দুটি নয়, পাওয়া গেছে এক হাজারেরও বেশি রকেট!

আইএএনএসের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ শনিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী পরিচালক আর শেজেশ্বরা নায়ক বলেছেন, বেঙ্গালুরুর ৩৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এসব রকেট পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কর্ণাটকের শিভামোগ্গা শহরের কাছে নাগারার এক দুর্গে মাটি খুঁড়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রকেট পাওয়া গেছে। টিপু সুলতানের আমলে তৈরি এসব রকেট যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য জমা করা হয়েছিল।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ২০০২ সালে এ ধরনের ১৬০টি রকেট আবিষ্কারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। পরে গবেষণায় দেখা যায়, সেগুলো টিপু সুলতানের আমলে তৈরি। এরপর থেকেই এমন অস্ত্রের খোঁজ চলছিল।আর শেজেশ্বরা নায়ক বলেন, কুয়াটি শুকিয়ে গিয়েছিল এবং এটি খোঁড়ার সময় চারপাশে বারুদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রকেটে পটাশিয়াম নাইট্রেট, কাঠকয়লা ও ম্যাগনেশিয়াম পাউডারের মিশ্রণ ছিল।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের ১৫ সদস্যের একটি দল গত বুধবার থেকে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো শুরু করে। তিন দিন কাজ করার পর রকেটের সন্ধান পাওয়া যায়। শেজেশ্বরা বলেন, যুদ্ধের রকেটগুলো নানা আকারের, ২৩ থেকে ২৬ সেন্টিমিটার লম্বা। একটি নিরাপদ জায়গায় মাটির নিচে এগুলো জমা রাখা হয়েছিল। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এই রকেটগুলো কিছুদিন উন্মুক্ত রাখা হবে।

প্রত্নতাত্ত্বিক কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই রকেটগুলো তৈরির ক্ষেত্রে টিপু সুলতান নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসব রকেট ব্যবহার করা হয়েছিল।১৭৯৯ সালে চতুর্থ অ্যাংলো-মাইসোর যুদ্ধে নিহত হন টিপু সুলতান। ভারতীয় উপমহাদেশে রকেট ধরনের অস্ত্র তৈরির অগ্রদূত বিবেচনা করা হয় তাঁকে। ঐতিহাসিকদের ধারণা, এই রকেটগুলো তৈরির জন্য টিপু ফরাসি সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়েছিলেন।

বাংলাপ্রেস / এফএস

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন