১৪ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দূর্ভোগ চরমে

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দূর্ভোগ চরমে
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: একটি মাত্র কালভার্টের অভাবে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে টুকা মিয়া চাপরাশি ঈদ গাহ জামে মসজিদের উত্তর পাশে এ কাঠের ব্রিজটি। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। এতে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে পড়ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আগত লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসি। কাঠের ব্রিজের বেহাল অবস্থা, কর্তৃপক্ষ উদাসীন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের কাঠের পেরাগ উঠে গিয়ে পাখায় পড়ে আছে। অন্ধকার রাতে এই ব্রিজ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে দালাল বাজার এন কে উচ্চ বিদ্যালয়, দালাল বাজার ফাতেমা বালিকা বিদ্যালয়, গাউসুল আজম ইসলামিয়া তাহেরিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও দালাল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। বিশেষ করে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বয়স্ক লোকদের জন্য এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে হাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই ব্রিজটি। প্রতিনিয়ত পঃ গোপীনাথপুরের প্রায় ৪/৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ সময় টুকামিয়া চাপরাশি ঈদ গাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম,আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ব্রিজটির দুর্দশা ও বেহাল অবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের।এবং বিভিন্ন সরকারী কাজে, ব্যাংক ও স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসা-যাওয়া করতে হলে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।এতে আমাদের আর্থিক বা শারিরীকভাবে ক্ষতির শিকার হতে হয়। এমনকি একটু বৃষ্টি হলেই ব্রিজ দিয়ে হাঁটার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। তাই একটি কালভার্টের জন্য ২০২১ সালের মার্চের ২ তারিখে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেক (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম এর নিকট লিখিত আবেদন করিলে তিনি এই কালভার্টটি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জরুরি ভাবে ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আজও কালভার্টটির কাজ না হওয়া এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়ে। পৌর ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগম বলেন, এর আগেও কয়েকটি শিশুর পরে দূঘটনার শিকার হয়েছে। এই ব্রিজ দিয়ে আমার বাবার বাড়ি যেতে হয়। ব্রিজটি যদি আমার নির্বাচনী এলাকা পড়তো, তাহলে আমি চেষ্টা করতাম। এ ব্রিজ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। যত ভোগান্তি সব চলাচলকারীদের। অথচ এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে কয়েকটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার লোকজন আসা-যাওয়া করেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার অবগত করলেও মেলেনি কোনো সাড়া। এবিষয়ে দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম জানান, ভাঙা কাঠের ব্রিজ এর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে বিভিন্ন অফিসগামী ব্যক্তি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এই ব্রিজটির জন্য আনোয়ার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেক (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম স্যারের কাছে আবেদন করেছে। আমি ঐ আবেদনের মধ্যে সুপারিশের মাধ্যমে অনুরোধ করেছি বিপি>আর এল
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন