১৩ অক্টোবর ২০২৫

লন্ডনে টিউলিপের বোন আজমিনার উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
লন্ডনে টিউলিপের বোন আজমিনার উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পলায়ন করেন। শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যা, হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ অভিযোগের মধ্যে অন্তত ৮০০ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর বিষয়টি আছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও তহবিল তছরুপের অভিযোগও রয়েছে। হাসিনার পতনের পর একের পর এক সামনে আসছে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সম্পদের খবর। শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দেওয়া বাড়ির সন্ধানের পর এবার বের হয়েছে তারই ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তর নামে উপহার দেওয়া আরেক ফ্ল্যাটের সন্ধান। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী তাকে ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন। আজমিনার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ও সানডে টাইমস। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রকাশ করেছে, লন্ডনের কিংসক্রস এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফ। ব্রিটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ভিন্ন এক প্রতিবেদনে আরেক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপের ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গনি। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৯ সালে মঈন গনি ফ্ল্যাটটি আজমিনার নামে হস্তান্তর করেন। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে কোনো আর্থিক লেনদেনের কথা উল্লেখ নেই। তবে জানা যায়, আজমিনা যখন ১৮ বছর বয়সি এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করছিলেন, তখন তিনি ফ্ল্যাটটি উপহার পান। ফ্ল্যাটটি প্রথমে আজমিনার নামে থাকলেও এক সময় সেখানে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস শুরু করেন। তবে তিনি ঠিক কখন সেখানে উঠেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পর, তিনি ওয়ার্কিং মেনস কলেজের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলে, কোম্পানি হাউসের নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে এ ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং মার্চ ২০১৪-তে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট নামক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি হিসেবে একই ঠিকানা ব্যবহার করেন। টিউলিপের স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও ২০১৬ সালের শেষের দিকে ফ্ল্যাটটির ঠিকানা ব্যবহার করেন। তখন টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০২১ সালে আজমিনা ফ্ল্যাটটি ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন। এ বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের ফ্ল্যাটে বসবাস করেছিলেন। বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন