
লস অ্যাঞ্জেলসে অভিবাসন অভিযানে আহত মার্কিন নাগরিকের ৫ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি


ইমা এলিস: লস অ্যাঞ্জেলসে এক অভিবাসন অভিযানে আহত এক মার্কিন নাগরিক স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দফতর (ডিএইচএস) এবং এর অধীনস্থ দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ এনে ৫ কোটি ডলারের ফেডারেল ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেছেন।
৭৯ বছর বয়সী রাফি উল্লাহ শুহেদ অভিযোগ করেছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা তাঁকে মাটিতে ফেলে দেওয়ায় তাঁর একাধিক পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়, শরীরে আঘাত লাগে এবং তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
৯ সেপ্টেম্বর তাঁর গাড়ি ধোয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়, যেখানে গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর পাঁচজনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল বলে ডিএইচএস-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ডিএইচএস জানিয়েছে, প্রথমে শুহেদকে একজন ফেডারেল কর্মকর্তার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়।
“আমি আপনার জন্য কী করতে পারি? আমি কি সাহায্য করতে পারি?”— শুহেদ এপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি অভিযানে থাকা কর্মকর্তাদের এভাবেই প্রশ্ন করেছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, এরপর তিনজন মুখোশ পরা এজেন্ট তাঁকে মাটিতে আছড়ে ফেলে, গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে অবশ্য কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
“এটি ছিল নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৭৯ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিকের ওপর ভয়াবহ ও বেআইনি হামলা,” বলেন শুহেদের আইনজীবী ভি. জেমস ডেসিমোন।
তিনি আরও বলেন, “ফেডারেল এজেন্টরা মি. শুহেদকে মাটিতে ফেলে শরীর চেপে ধরেছিল, তাঁর চিকিৎসার অনুরোধ উপেক্ষা করেছিল এবং তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যথায় ফেলে রেখেছিল। তাদের এই কর্মকাণ্ড সংবিধান, ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিক অধিকার আইন এবং মৌলিক মানবিকতার লঙ্ঘন।”
এপি জানিয়েছে, ডিএইচএসের হাতে ছয় মাস সময় আছে—এ সময়ে তারা মামলাটি মীমাংসা করতে বা খারিজ করতে পারে, এরপর ফেডারেল আদালতে মামলা করা যাবে।
শুহেদের এই মামলা আসে জুলাই মাসের পর, যখন লস অ্যাঞ্জেলসের আরেকজন নাগরিক হোম ডিপো স্টোরে অভিযানের ভিডিও ধারণের কারণে গ্রেপ্তারের পর ডিএইচএস, আইসিই ও মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম (ডেমোক্র্যাট) বলেছেন, মুখোশ পরা আইসিই এজেন্টরা স্থানীয় সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করছে। শনিবার তিনি একটি বিল স্বাক্ষর করেছেন, যাতে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের মুখ ঢেকে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আইন কার্যকর হলে যারা এ নিয়ম ভাঙবে, তাদের নাগরিক জরিমানা ও মিসডিমিনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতে হবে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে আইনটি উপেক্ষা করতে বলেছে। ইতোমধ্যেই ডিএইচএস জানিয়েছে, তাদের কর্মকর্তারা এই আইনের সঙ্গে একমত নয় এবং তা মানবে না।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি। সিএস
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন




গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প

ভারতের ৩ কাশির সিরাপের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা
