
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বে আলোচনার ঝড় বইছে ঠিক সেই সময়ে মার্কিন সেনাপ্রধান জেমস চার্লস ম্যাককনভিলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। স্থানীয় সময় শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পেন্টাগনে সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুই সেনাপ্রধান একে অপরকে ক্রেস্ট উপহার দিয়েছেন এবং পরে তাঁরা নৈশভোজে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রধানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়েন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পোঁছার দু'দিন পরেই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা টেলিভিশনে গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রচারিত প্রতিবেদনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র সফররত জেনারেল আজিজ আহমেদ এখন পর্যন্ত আল-জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খোলেননি বা তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস, মিশন ও কন্সুলেটে তিনি কোন সভায় অংশ নেবেন কিনা যোগাযোগ করেও তা জানা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা গণমাধ্যমের সংবাদকর্মিরাও বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের অন্যান্য কর্মসূচির কথা জানেন না
মার্কিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি তিনি অফিস অব দ্য সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি সাউথ ও সাউথইস্ট এশিয়াতে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা এবং দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতাবিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে জেনারেল আজিজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মিলিটারি অ্যাডভাইজার এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলদের সঙ্গেও মতবিনিময় করছেন। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন।
বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]