-68eba6bfe183f.jpg)
মেহেরপুরে ফসল নষ্ট করছে হনুমান


মেহেরপুর প্রতিনিধি: খাদ্যের সন্ধানে ভারত থেকে দলে দলে হনুমান সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে গাংনীর সহড়তলা গ্রামে আসছে। এসব হনুমান এদেশে আসার পর ক্ষেতের ছোলা, কলা, ভুট্টা, পেয়ারা , আম সহ বিভিন্ন ফসল খেয়ে ফেলছে। গত কয়েকদিনে ভারতের ওপার থেকে ২০/৩০ টি হনুমানের একটি দল এই গ্রামে আসে।
বাঁশবাগান অথবা বড় গাছে অবস্থান নিলেও ক্ষুধা পেলে সুযোগ বুঝে ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলছে। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট করছে অনেক ফসল। ফসল রক্ষার্থে কৃষকরা তীর-ধনুক ও গুলতি ব্যাবহার করেও কোন লাভ হচ্ছে না। ফসলের ক্ষতি কমাতে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা বলছে গাংনী উপজেলা প্রশাসন।
প্রাকৃতিক ভাবেই বন জঙ্গল না থাকায় মেহেরপুরে হনুমানের কোন আবাস স্থল নেই। তাই তারা জনবসতি এলাকাতে বসবাস করছে। হনুমান দেখে স্থানীয়রা প্রথমে খুশি হলেও হনুমানের অত্যচারে এখন অতিষ্ট গ্রামের কৃষকরা। স্থানীয় গ্রামবাসীর দাবী ভারত থেকে এসব হনুমান এখানে এসে বাচ্চা দিয়ে বংশ বিস্তার করেছে।
সহড়তলা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সাজু মিয়া বলেন, হনুমান গুলো ভারত থেকে এসেছে এখানে এসে আনেক বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। ফসল সহ আম, জাম, কলা সব কিছুই তারা খেয়ে ফেলছে। তাদেরকে তাড়াবার জন্য গুলতি ও তীর-ধনুক ব্যবহার করা হচ্ছে । এতে কিছুক্ষণের জন্য পালালেও আবার ঘুরে আসছে।
তাড়িয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। মহাব্বত আলী ও একই কথা জানালেন, পাশের সীমান্ত দিয়ে পার হয়ে চলে এসেছে হনুমান গুলো। এখন মাঠের ফসলে অত্যাচার করছে। শুধু ফসলের মাঠ নই ঘরেও আসছে। সব ফসলই তারা নষ্ট করছে। হনুমান গুলো দলবেঁধে ভয় দেখাচ্ছে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ভারতীয় অংশ থেকে কিছু হনুমান এসেছে এবং বংস্ব বিস্তার করে সংখ্যায় বাড়ছে তারা। স্থানীয় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। যেহেতু বন্য প্রাণী আমরা হত্যা করতে পারি না। সেজন্য স্থানীয় জনসাধারণকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যাতে কম সংখ্যাক ফসলের ক্ষতি হয় সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিপি/কেজে
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন
-68eba6bfe183f.jpg)




নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভাষা সৈনিক ইউনুস আলীর রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন সম্পন্ন
