১৪ অক্টোবর ২০২৫

মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনে প্রতিবাদের প্রতীক কিশোরী আহেদ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনে প্রতিবাদের প্রতীক কিশোরী আহেদ

বাংলাপ্রেস অনলাইন :ইসরায়েলি দুই সেনার গালে চড় মেরে ফিলিস্তিনে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠা কিশোরী আহেদ তামিমি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। আট মাস পর আজ রোববার কারাগার থেকে একসঙ্গে মুক্তি পান আহেদ ও তাঁর মা। এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া আহেদকে আনন্দে জড়িয়ে ধরে তার এক স্বজন।

১৭ বছরের আহেদ ও তাঁর মাকে সকালে ইসরায়েলের শ্যারন কারাগার থেকে গাড়িতে করে পশ্চিম তীরের সীমান্তবর্তী তল্লাশি চৌকিতে পৌঁছে দেওয়া হয়। আহেদের বাড়ি পশ্চিম তীরের নবী সালেহ গ্রামে।কারাগারের মুখপাত্র আসাফ লিবরাতি বলেন, তাদের ইসরায়েলি সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।তাদের স্বাগত জানাতে পরিবারের সদস্য ও সমর্থকেরা তল্লাশিচৌকিতে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বহনকারী সেনাবাহিনীর গাড়িটি সেখানে না দাঁড়িয়ে পশ্চিম তীরের দিকে চলে যায়।

আহেদের বাবা এক হাতে মেয়েকে, অন্য হাতে স্ত্রীকে ধরে রেখেছেন। পশ্চিম তীর, ২৯ জুলাই। আহেদের বাবা এক হাতে মেয়েকে, অন্য হাতে স্ত্রীকে ধরে রেখেছেন। পশ্চিম তীর, ২৯ জুলাই। ছবি: রয়টার্সসেনাদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রাস্তার পাশে জড়ো হওয়া হাজারো জনতা ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে আহেদ বলেন সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি। সেখানেই কথা হবে।

আহেদের বাবা বাসেম এক হাত দিয়ে মেয়েকে অন্য হাতে স্ত্রীকে ধরে রাখেন। তারা যখন পথে ধরে হাঁটছিলেন তখন চারপাশ থেকে ‘আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই’ স্লোগান ওঠে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেছে। এমনকি এই মা-মেয়েকে কোন তল্লাশি চৌকি দিয়ে আনা হবে- তা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছে।

প্রথমে বলা হয়েছিল আহেদ ও তার মাকে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহর তুল্করাম শহরের কাছের একটি তল্লাশি চৌকি দিয়ে আনা হবে। কিন্তু তাদের কোন তল্লাশি চৌকি দিয়ে আনা হবে তা তিন তিনবার পরিবর্তন করা হয়। বাংলাপ্রেস / এফএস

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন