১৪ অক্টোবর ২০২৫

ম্যাককেইনকে ‘বীর’ উপাধি প্রদানে ট্রাম্পের বাধা!

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
ম্যাককেইনকে ‘বীর’ উপাধি প্রদানে ট্রাম্পের বাধা!
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইনকে ‘বীর’ উপাধি প্রদানে বাধা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের দুইজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন ম্যাককেইনকে ‘বীর’ উপাধি দিয়ে হোয়াইট হাউস যে তৈরি বিবৃতি করেছিল তা প্রকাশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাধা দিয়েছেন। এর পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাত্র দুই লাইনের একটি শোক বার্তা টুইটারে প্রকাশ করেন। জন ম্যাককেইন ছয়বার রিপাবলিকান দল থেকে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সরকারি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া ভিয়েতনাম যুদ্ধেও তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। এই যুদ্ধে যুদ্ধবিমানের পাইলট ছিলেন ম্যাককেইন। ধরা পড়ার পর তিনি ৫ বছর ধরে ভিয়েতনাম কারাগারে বন্দি ছিলেন। এজন্য তাকে ‘বীর’ উপাধি দিয়ে একটি বিবৃতি তৈরি করেন হোয়াইট হাউসের চীফ অব স্টাফ জন কেলি, প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্সসহ অন্য কর্মকর্তারা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এতে আপত্তি করেন এবং বিবৃতিটি প্রত্যাখ্যান করেন। এর পরিবর্তে তিনি দুই লাইনের শোক বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ম্যাককেইনের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা তার জন্য সবসময় প্রার্থনা করি। ম্যাককেইন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে শনিবার মারা যান। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পের নীতি সমালোচনায় ছিলেন মুখর। এর ফলে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ম্যাককেইন এবং তার পরিবারের দূরত্ব তৈরি হয়। মৃত্যুর আগেই ম্যাককেইন বলেছিলেন, তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উপস্থিত না থাকেন। এজন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিবর্তে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের উপস্থিত থাকার কথা। ম্যাককেইন ২০০৮ সালে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বারাক ওবামার কাছে হেরে যান। তারপরও ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল ছিল। তিনি উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জর্জ ডাব্লিউ বুশসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন