১৪ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিএনপি, চলছে ইশতেহার তৈরির কাজ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিএনপি, চলছে ইশতেহার তৈরির কাজ
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা-প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিয়ে দলীয় ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু করেছে বিএনপি। চলছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার তথ্য হালনাগাদের কাজও। কাউন্সিলের মাধ্যমে পুনর্গঠন করা হচ্ছে জেলা-উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের সব কমিটি। এসব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি’র অভ্যন্তরে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। বলছেন, সত্যিকার অর্থে জনগণের সংসদ গঠনে শুধু আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা নয়; যোগ্যতা দেখে ঠিক করা হবে ধানের শীষের প্রার্থী। মূলত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলেও নানা দাবি নিয়ে এখনও উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। তবে তা ছেদ ফেলেনি বিএনপি’র নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজে। ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সময় ঘোষণার পরপরই সাংগঠনিক গতিশীলতা কয়েকগুন বাড়িয়েছে দলটি। মহোৎসবে বিভিন্ন জেলায় হচ্ছে কাউন্সিল। রদবদল আনা হচ্ছে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন কমিটিতে। এরইমধ্যে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে শুরু করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের একাধিক সমাবেশে তার দেয়া শ্লোগান ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক’ এরইমধ্যে সাড়া ফেলেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। গত দেড় দশকে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই হয়েছেন নতুন ভোটার, যারা ভোট তথা নাগরিক এ অধিকার প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করবেন। তাদের আকৃষ্ট করতেই এ সৃজনশীল প্রচারণা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জেলা সম্মেলন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সমান্তরালে চলছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই প্রার্থীতা বাছাইয়ের কাজও শুরু করবে দল। বেশ গোপনীয়তার সাথে জানুয়ারি থেকে মে মাসে সারাদেশে অন্তত চারটি জরিপ পরিচালনা করে বিএনপি’র হাইকমাণ্ড। এতে কিছুটা বদলে গেছে সিদ্ধান্ত। শুধু আন্দোলনে ভূমিকা দেখে নয়, সার্বিক বিবেচনায় ধানের শীর্ষের প্রার্থী হতে ঠিক করা হয়েছে নতুন মানদণ্ড। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিগত আন্দোলনে প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাই শুধু নয়, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে মেধাবীদের আমরা বিবেচনায় নেবো। একটা সমৃদ্ধ পার্লামেন্টের জন্য যা প্রয়োজন এসব বিষয়ই মুখ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয় একমতে পৌছানো গেছে সেসব আমরা সবার আগে বিবেচনায় রাখবো। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত গুরুত্ব পাবে সবার আগে। নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ প্রতিটা শিশুর শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করবো আমরা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৯ অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছিল বিএনপি। সেই ইশতেহারে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার করে দলটি। এবারও সেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত ও ৩১ দফার সমন্বয়ে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন নেতারা। এজন্য করা হয়েছে কয়েকটি সাব-কমিটি। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বড় দলে প্রতিযোগিতা থাকবেই। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কার জনপ্রিয়তা কেমন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সার্বিক বিষয়েই খোঁজ রাখছেন। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৩০টির বেশি অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। যার মধ্যে অনেকগুলোই পূরণ করেনি দলটি। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, নারী আসন বাড়ানোসহ শিক্ষা-অর্থনীতি-কৃষিখাতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছিল খালেদা জিয়ার সরকার। [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি/টিআই
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন