
নিউ ইয়র্ক পুলিশকে বর্ণবাদী বলে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন মামদানি


ইমা এলিস: ডেমোক্রেটিক মেয়র পদপ্রার্থী এবং বর্তমানে এগিয়ে থাকা প্রার্থী জোহরান মামদানি ২০২০ সালের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের জন্য ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে (এনওয়াইপিডি) 'বর্ণবাদী, সমকামীবিরোধী ও জননিরাপত্তার বড় হুমকি' হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তার প্রচারক দল এই তথ্য এএম নিউ ইয়র্ক-কে নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি প্রথমবারের মতো তার পূর্বেকার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার ইঙ্গিত দেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ওই মন্তব্যগুলো তার মেয়র প্রার্থিতার সঙ্গে' সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়,'তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেননি। এবার তার এই অবস্থান পরিবর্তনকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা পুলিশবিষয়ক তার অতীতের বামঘেঁষা অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসা হিসেবে দেখছেন।
৪ নভেম্বরের নির্বাচনে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসসহ আরও অনেকে। প্রতিদ্বন্দ্বীরা মামদানির এনওয়াইপিডি-বিরোধী মন্তব্যগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাকে পুলিশ বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য বলে তুলে ধরছেন।
মামদানি টাইমসকে বলেন, জর্জ ফ্লয়েডকে মিনিয়াপোলিস পুলিশের হাতে হত্যার পরবর্তী 'চরম হতাশার সময়ে” তিনি ওই পোস্ট করেছিলেন। এক প্রতিবেদক তাকে যখন দু’বার জিজ্ঞাসা করেন তিনি কি ক্ষমা চাইবেন, তখন মামদানি উত্তর দেন—'হ্যাঁ।' তবে তিনি প্রচারণা চলাকালীন সময়ে নাকি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ক্ষমা চাইবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার সময় জুড়ে মামদানি একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি আর 'ডিফান্ড দ্য পুলিশ' আন্দোলনকে সমর্থন করেন না। তিনি জুলাই মাসে এক ভাষণে বলেন,
'একেবারে পরিষ্কারভাবে বলছি—আমি পুলিশকে অর্থবঞ্চিত করছি না, আমি পুলিশকে অর্থবঞ্চিত করার জন্য প্রার্থী হচ্ছি না।'
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি। সিএসআপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প
