নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: বাড়িভাড়ার বকেয়া অর্থ আদায় করতে গিয়ে বাংলাদেশি ভাড়াটিয়াকে খুনের দায়ে ঘাতক তাহার মাহরানকে ১৫ বছর কারদন্ড দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। গত বৃহস্পতিবার ব্রঙ্কসের সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত ব্যক্তিকে ১০ বছর কারাগারে এবং ৫ বছর প্রবেশনে থাকবে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসে ভাড়া বাসার সামনে বাড়ীর মালিক মিসরীয় বংশোদ্ভূত তাহার মাহরান (৫১)-এর উপর্যুপরি ছুরিকাতে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশি জাকির খান (৪৪)।পরে তাকে স্থানীয় জ্যাকোবী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাকে মৃত হয়।ঘটনার দিনই মাহরানক পুলিশে খবর দিয়ে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়ে নিজের অপ্রাধের কথা স্বীকার করেন। পুলিশে তাকে গ্রপ্তার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার অভিযোগ্র অভিযুক্ত করেন।
২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাকিরের মরদেহ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে মরহুম জাকিরের মা-বাবার কবরের পাশেই তার মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহত জাকির খান সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের সন্তান। ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। জাকির খান নিউ ইয়র্কে এসে পড়াশুনা শেষ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি ব্রঙ্কসে শীর্ষ স্থানীয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে কমিউনিটিতে পরিচিত লাভ করেন। নিউ ইয়র্কের ডেইলী নিউজ পত্রিকায় তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি তাকে ‘কিং অব রিয়েল এস্টেট অব ব্রঙ্কস‘ নামে অভিহিত করে। জাকির খান মূলধারার পাশাপাশি কমিউনিটির নানা সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিউ ইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ডে’ পালনের অন্যত উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি। সাংসারিক জীবনে জাকির খানের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা স্কুল পড়ুয়া।
কোর্টের রায়ে জাকির খানের পরিবার সহ কমিউনিটির অনেকেই পুরোপুরি খুশী হতে পারেননি। তারা আশা করেছিলেন খুনী মাহরানের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে।
বিপি।সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
