
নিউ ইয়র্কে কোভিড সহায়তার ৮ লাখ ডলার আত্মসাত, দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন


নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ জানিয়েছেন, কারিম রিভস এবং মাইকেল রবার্টসন নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রির গ্র্যান্ড লারসেনি, পরিচয় চুরি এবং চুরি করা সম্পত্তি রাখার অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তারা করোনাভাইরাস মহামারির সময় শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত বেকারত্ব সহায়তা তহবিল থেকে প্রায় ৮ লাখ ৩৫ হাজার ডলার আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত।
রবার্টসনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে আরও একটি ফৌজদারি মামলায় প্রথম ডিগ্রির গ্র্যান্ড লারসেনিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে—যেখানে তিনি পেনসিলভানিয়ার এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট থেকে ১.২ মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত।
জেলা অ্যাটর্নি ক্যাটজ বলেন, অভিযুক্তরা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্ধারিত তহবিলকে নিজেদের পকেট ভরার জন্য ব্যবহার করেছে—যার ফলে দেশজুড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের একজন আবার ব্যক্তিগত বিনিয়োগ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এক মিলিয়নেরও বেশি ডলার চুরি করেছে। আমরা এ ধরনের প্রতারণাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২২ সালে শুরু হওয়া এই তদন্তে ১১টি রাজ্যের কর্মসংস্থান সংস্থার নথি এবং শতাধিক আর্থিক লেনদেন বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
কারিম রিভস (৩৬), সেন্ট অ্যালবান্সের ২০০তম স্ট্রিটের বাসিন্দা, বুধবার আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ গঠন হয়েছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
মাইকেল রবার্টসন (৩৫), একই ঠিকানার বাসিন্দা, বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় এবং তার বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন।
তদন্তে জানা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রিভস ৪২ জন ভুক্তভোগীর নামে জাল বেকারত্ব আবেদন পাঠিয়ে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেন এবং আরও প্রায় ৬০ হাজার ডলার চুরির চেষ্টা করেন। রবার্টসন একইভাবে ১২ জন ভুক্তভোগীর নামে আবেদন পাঠিয়ে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার আত্মসাৎ করেন।
২০২৫ সালের মার্চে রবার্টসন পেনসিলভানিয়ার এক ব্যক্তির একাধিক ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্টে হ্যাক করে ১.২ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ বিক্রি করে অর্থ নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন। পরে সেই অর্থ তিনি একাধিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করেন বলে অভিযোগ।
দুজনকেই বুধবার সকালে নিউইয়র্ক পুলিশ, মার্কিন ডাক পরিদপ্তর এবং শ্রম দপ্তরের সদস্যরা তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বাসা থেকে বেশ কিছু আর্থিক নথিও উদ্ধার করা হয়েছে।
এই তদন্তে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির মেজর ইকোনমিক ক্রাইমস ব্যুরো মার্কিন শ্রম দপ্তর, ডাক পরিদপ্তর এবং এনওয়াইপিডির আর্থিক অপরাধ ইউনিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।
বিপি।সিএস
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন



ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ সফরে আসতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট


সামরিক সংঘর্ষের পর আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
