
নিউ ইয়র্কের খলিলকে আলজেরিয়া বা সিরিয়ায় ফেরত পাঠানোর নির্দেশ বিচারকের


নোমান সাবিত: নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ফিলিস্তিনিপন্থীকর্মী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করে আলজেরিয়া বা সিরিয়ায় ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এক অভিবাসন বিচারক। অভিযোগ, গ্রিন কার্ডের আবেদনে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছিলেন।
রায়ে বিচারক জেমি কোমানস বলেন, খালিল সুস্পষ্টভাবেই জানতেন তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ করলে জিজ্ঞাসাবাদ বাড়বে এবং শেষ পর্যন্ত স্থায়ী বসবাসের আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই তিনি সচেতনভাবেই তথ্য গোপন করেছেন। কোমানস মন্তব্য করেন, 'অভিবাসন প্রক্রিয়া এড়াতে এ ধরনের ভুল তথ্য দেওয়া আদালত অনুমোদন করতে পারে না। তা হলে ভবিষ্যতের আবেদনকারীরাও একই পথে উৎসাহিত হবে।'
খলিল অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর বাকস্বাধীনতার কারণে প্রতিশোধ নিচ্ছে। তিনি বলেন, এক ভুয়া অভিবাসন আদালতের মাধ্যমে প্রশাসনের সর্বশেষ চেষ্টা আবারও তাদের আসল চেহারা প্রকাশ করেছে।দ
আইনজীবী দল জানিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা নিউ জার্সির ফেডারেল বিচারক মাইকেল ফারবিয়ার্জের আদালতে আপিল করবে। এর আগে ফারবিয়ার্জ চলতি বছরের জুনে খালিলকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন শর্তসাপেক্ষে তাঁর পাসপোর্ট ও ভ্রমণ নথি জমা রাখতে হয়েছিল।
কোমানসের রায় আসে ১২ সেপ্টেম্বর। আইনজীবীরা জানান, তাঁরা ৩০ দিনের মধ্যে অভিবাসন আপিল বোর্ডে (বিআইএ) আবেদন করবেন।
মার্চে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দমন অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হন গ্রিন কার্ডধারী খালিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য তাঁর উপস্থিতি “হুমকি” বলে অভিযোগ আনা হয়। এরপর তিনি লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে তিন মাসেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। এই সময় তিনি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্মের সময়টুকুতেও পাশে থাকতে পারেননি।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি। সিএসআপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন




গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প

ভারতের ৩ কাশির সিরাপের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা
