-68eba6bfe183f.jpg)
অফিস না করেই বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ ডাক্তার ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে



ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী এন্ড অবস্ধসঢ়;) ডা. মাতুয়ারা শারমীন দেড় বছর ধরে অফিস না করেই সরকারি বেতন ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ওই হাসপাতালের দুইজন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক একই পন্থা অবলম্বন করে অফিস ম্যানেজ করে কৌশলে সরকারি বেতন ভাতা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে যোগদান করেন ডা. মাতুয়ারা শারমীন। যোগদানের পর থেকে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত না হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্থ অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ম্যানেজ করে দেড় বছরের মধ্যে ১৭৬ দিন বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে পার করছেন। বাকী দিনগুলি তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা গাইনী রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সর্বশেষ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ‘ট্রেনিং ফর ডক্তর অন ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার’ শীর্ষক সার্জারী ইউনিট, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬ দিনের ট্রেনিংয়ে রয়েছেন তিনি। অপরদিকে দুই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক বেগম শেফালী সামাদ ও হোসনেয়ারা বেগম এ বছরের ২৮ এপ্রিল বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তাদের দু’জনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এরই মধ্যে তারা দুইজন এক সাথে তিনবারে ১২ দিনের ছুটি নিয়েছেন। বাকী দিনগুলিতে অফিস না করেই তুলেছেন সরকারি বেতন ভাতা। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছে উপজেলা স্বাস্থ্য পরির্দশক মো. আবু সাঈদ। মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা নিয়ে তিনি এ কাজ করছেন বলে অফিসের একটি সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. আবু সাঈদ বলেন, আমি কোন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করি নাই। তারা নিয়মিতই কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হোসনেয়ারা বেগমের মোবাইল ফোনে (০১৭১৮-৭৩৭১২০) বার বার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।অফিস না করে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে ডা. মাতুয়োরা শারমীনের মোবাইল ফোনে (০১৭১৭-২৯০০৪৭) একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
একই ব্যক্তিকে বার বার বিভিন্ন ট্রেনিংয়ে ডাকা হয় কেনো জানতে চাইলে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা উপজেলা পর্যায়ে চাহিদাপত্র পাঠাই। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যার নাম আমাদের দেন, আমরা তাকে দিয়ে ট্রেনিং করাই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে ওই ডাক্তারের সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাঃ এনামুল হক বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আগামীকাল খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিপি/কেজে
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন
-68eba6bfe183f.jpg)




নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভাষা সৈনিক ইউনুস আলীর রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন সম্পন্ন
