১৪ অক্টোবর ২০২৫

ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে : তারেক রহমান

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে : তারেক রহমান

বাংলাপ্রেস ঢাকা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, আগামী দিনে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে।

শনিবার (২৭ সেপ্টম্বর) বিকালে কুমিল্লার টাউনহল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে। একটি কথা, সবার আগে বাংলাদেশ। এটিই আমাদের শুরু, এটাই আমাদের শেষ, সবার আগে বাংলাদেশ।

এদিন ১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। 

সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।

তারেক রহমান বলেন, বক্তব্য অনেক হয়েছে। এখন আমাদের কাজ করতে হবে। আজকে সম্মেলনের স্লোগান হোক, ঐক্য, জনগণ এবং পুনর্গঠন। আমাদের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করেছে। জেলে গিয়েছে, গুম হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এখনই সময়, সকলে মিলে কাজ করে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করি। এই বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। মিটিং করে জনগণের কাছে যাওয়া যাবে না। প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতে হবে। 

প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এমন একটি প্রত্যাশিত দিন দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। ১৬ বছর পর এমন একটি দিন পেলাম। আমরা সুখের দিনে অতীত ভুলে যাই। আমরা যেন বিস্মৃত না হই। এই দেশ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যে পরিমাণ ঋণ হয়েছে  সেই টাকা দিয়ে ৪০টি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেত। ব্যাংকিং সেক্টর পাঁচ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণে জর্জরিত। এই আওয়ামী লীগের ইতিহাস লুটপাটের ইতিহাস। জুলাই অভ্যুত্থানে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ মারা হয়েছে, ২০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা যেন ভুলে না যাই। 

তিনি বলেন, আমরা এখনো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সংস্কারের সংগ্রাম, বিচারের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। অতীতে মানুষ ভাষণ শুনেছে, শোষণের শিকার হয়েছে। ভাষণ ও শোষণের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার রয়েছে। এই দেশের মানুষকে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। প্রত্যেকটি অপরাধের বিচার হবে। কিন্তু এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যার জন্য নির্বাচন প্রলম্বিত হতে পারে না। 

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজকে যারা সংস্কারের কথা বলে, তারা কি জানে ভিশন ২০৩০ এর কথা, ৩১ দফার কথা? বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক মহাকাব্যের নাম ৩১ দফা। দেশের কোনো ব্যক্তি ৩১ দফার পরও গ্রহণযোগ্য কিছু বলেন, আমরা তা গ্রহণ করব। বিএনপির ইতিহাস সংস্কারের ইতিহাস। একাত্তরের চেতনা টেকেনি। হাসিনার ঠাঁই হয়েছে দিল্লিতে। আমরা সবাই জুলাই যোদ্ধা। তবে জুলাইয়ের চেতনাও কেউ যেন বিক্রি না করি।

ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, যারা ৭১ কে অস্বীকার করে, যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, তাদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পিআর কাকে বলে চিনে না জানে না, আপনি ভোট দিবেন একজনকে, কিন্তু আপনার জনপ্রতিনিধি হবে অন্য আরেকজন। ভোট কেবল মার্কাই নয়, ভোট নেতার সাথে ভোটারদের একটি আত্মার বন্ধন। 

বিপি>আর এল 

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন