-68eba6bfe183f.jpg)
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অফিস সুপারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধ


আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর থেকে : পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর অফিস সুপার ও বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের মহাসচিব মোঃ হেদায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও হয়রানীর প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক।
সকালে সদর উপজেলা রমারখিল আলিম মাদরাসা, রাধাপুর উচ্চবিদ্যালয় ও হাবিবুল উলুম দাখিল মাদরাসার সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়। এতে শত শত শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ স্থানীয়রা অংশ নেয়। এসময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন, বক্তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ৭১ টেলিভিশনে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ হেদায়েত হোসেনকে জড়িয়ে অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। যাহা পরবর্তীতে ওইসব দপ্তরের তথ্যনুসন্ধানে তার সম্পৃক্ততা ও সত্যতা পাওয়া যায়নি। মানববন্ধনে ৭১ টিভিতে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীণ সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়। এবং অভিলম্বে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান বক্তারা।প্রচারিত সংবাদ সূত্রে জানাগেছে, কুড়িগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের টাইপিষ্ট মোশারফ হোসেন টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তিকে চাকরী পাইয়ে দিতেন।
২০১২ সালে টাইপিষ্ট মোশারফ হোসেন মারা যান। তখন তিনি ৩১ জনকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর চাকুরীর টাকা দানকারীরা মোশারফের পরিববারের উপর চাপ দিতে থাকে। এ ঘটনার সাত বছর পর মোশারফরের স্ত্রী রুনা বেগম এবং তার শ্যালক দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার আকষ্মিকভাবে ঢাকাস্থ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অফিস সুপার ও বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের মহাসচিব হেদায়েত হোসেনর বিরুদ্ধে টাকা গ্রহনের অভিযোগ করেন। এ সম্পর্কে তদন্তকালে দেখা যায়- একটি ডায়রীতে লেখা আছে হেদায়েত ভাইয়ের রুমে ৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। ওই ডায়রীটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে-ডায়রীর লেখাটি মোশারফের হাতের লেখা নয়। এ ব্যাপারে মোশারফরের স্ত্রী রুনা বেগম এবং তার শ্যালক দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকারের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান, একটি চক্র আমাদেরকে হেদায়েত হোসেন সহ আরো দু’ এক জনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে বলেছিল। তারা আশ্বাস দিয়েছিল আমরা টিভি ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিলে তারা আমাদের খোয়া যাওয়া টাকা তুলে দিবেন।
কিন্তু টিভি ক্যামেরার সামনে আমাদের বক্তব্য নেয়ার পর তারা সটকে পড়েন। এখন আর ওই চক্রটি আমাদের ফোন রিসিভ করে না। অহেতুক আমরা নিরপরাধ হেদায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় অনুতপ্ত এবং অনুশোচনায় ভুগছি। নিয়োগ সংক্রান্ত টাকা লেনদেনে হেদায়েত এর সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরিবেশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেদায়েত। তিনি বলেন, রাজধানীর আদাবরে দেখানো ভবনে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর দুই জনের যৌথ নামে ৮/সি. নম্বর ফ্ল্যাটটি রয়েছে তাতে আমরা বসবাস করে আসছি, এ ছাড়া কোথাও আমার অন্য কোন ফ্ল্যাট নেই অথচ এই ভবনেই আমি দুইটি ফ্ল্যাট মালিক বলে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়াও কামরাঙ্গির চরে নির্মানাধীন বুড়িগঙ্গা সিটিতে আমার কোন ফ্ল্যাট নেই। এখানেও আমার ফ্ল্যাট আছে বলে প্রচার করা হয়েছে এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বিপি/আর এল
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন
-68eba6bfe183f.jpg)




নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভাষা সৈনিক ইউনুস আলীর রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন সম্পন্ন
